অভিনেত্রী তানজিন তিশা, নাজিফা তুষি ও সুনেরাহ বিনতে কামালের ‘গোপন’ ছবি ও ভিডিও ক্লিপ শরিফুল রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আপলোড করা হয়। যেখানে শরিফুল রাজ ও সুনেরাহ বিনতে কামালকে পাওয়া গেছে মদ্যপ অবস্থায়। দ্রুত এ ভিডিও ভাইরাল হলে ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ফাঁসের ঘণ্টাখানেক পরই ফেসবুক থেকে মুছে দেওয়া হয়।
এর পরই সংসার ভাঙার জন্য সুনেরাহকে দায়ী করেন পরীমনি। সেই সঙ্গে ভিডিও ছড়ানোর জন্যও সুনেরাহকে অভিযুক্ত করেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমনি।
সম্প্রতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সুনেরাহ। পরীমনির সেই গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে মুখ খুলেছেন। সেখানে সুনেরাহ বলেন, হঠাৎ আমার ফোনে ফোন আসা শুরু হয়। তার পরে আমি অনলাইনে গিয়ে দেখি। এতে আমি হতবাক হই। এই ভিডিও তিন বছর আগের। আমি জানতাম না যে, এ ধরনের ভিডিও আছে।
আমি প্রথমে রাজকে ফোন দিই । বলি এটা কি তুই করেছিস। পরে রাজ বলে, সুনেরাহ তোর কি মনে হয় আমি করেছি? আমি শুধু তোকে জিজ্ঞেস করছি, তুই বল? ওর ভয়েসে খুব কান্না ছিল। পরে বলল, বুঝতে তো পারছিস কে করেছে? পরে বললাম— তুই কোথায়, রাজ বলল— আমি রাস্তায় হাঁটতেছি । তোর তো পাবলিকলি কথা বলা উচিত। বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে। মানুষ আমাকে ভুল বুঝতেছে।
অভিনেত্রী বলেন, পরে দেখি পরীমনি আমাকে মেনশন দিয়ে ব্লেম করছে। অথচ আমি জানতামই না । শুধু তাই নয়, পরীমনি বলছে, রাজ আমার সঙ্গে ছিল। অথচ কোনো যোগাযোগই ছিল না। এটা কল রেকর্ড এবং লোকেশন চেক করলেই পাওয়া যাবে।
আমার তো আসলে ফ্যামিলি আছে, মান-ইজ্জত আছে। বিষয়টি মানুষ সব কিছু বুঝছে। পরীমনির সংসারভাঙার ক্ষেত্রে আমার কোনো ইনভলভমেন্ট নেই। এ বিষয়টি রাজও ক্লিয়ার করেছে। আমার জায়গা থেকে ক্লিয়ারও করেছি। যে কেউ তদন্ত করলে সত্যটা বেরিয়ে আসবে। আমি চাই, তদন্ত হোক। বিশেষ করে ফোনের লোকেশন চেক করা হোক। কে কোথায় ছিল।