লক্ষ্মীপুর রায়পুর থানা গেইটের সামনে গরমের এই সময়ে সকাল থেকে দাঁড়িয়ে শরবত বিক্রি করে বছর ১৪ বয়সী কিশোর হৃদয় হোসেন। তীব্র গরমে জমজমাট তার ব্যবসায়, ভোক্তা সমাগমও বেশি। গরমে ব্যবসায় জমে ওঠায় খুশি এই কিশোর। লেবু,লবণ, পানি, চিনির মিশেলে তৈরি করে হৃদয় শীতলকারী শরবত।
কোনো বিপদ-আপদ না থাকলে প্রায় প্রতিদিনই চলে তার এই হৃদয় শীতলকারী শরবতের ব্যবসায়। লক্ষ্মীপুরের এই উপজেলা শহরে এমন শরবত বিক্রেতা রয়েছেন প্রায় ১০ জন। সংখ্যার তুলনায় এ সংখ্যা কিছুটা বেশি মনে হলেও গরমের হাঁসফাঁসে ভোক্তা চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। লেবু, চিনি, লবন, পানি ছাড়াও ইসবগুলের ভূসির ব্যবহার বাড়িয়ে দেয় শরবতে মুখরোচকতা। এক কথায় বলতে গেলে মন্ত্রমুগ্ধ শরবত তৈরিতে সিদ্ধহস্ত কিশোর হৃদয়সহ বাকিরা। ২রা জুন শুক্রবার রাযপুরের তাপমাত্রা ৩৩° ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৫° ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করে। তবে তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে ৩৭° থেকে ৩৯° ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। তার ওপর বিদ্যুৎতের ঘনঘন বিভ্রাট। ফলে অসহ্য গরমে পুরো দেশের মতো দিশেহারা দিন পার করে এখানকার মানুষজন। আর তীব্র গরমের এই বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে সেবাধর্মী ব্যবসায় নেমে পড়ে হৃদয় নামের এই কিশোরসহ অন্তত দশজন। প্রতি গ্লাস শরবত ১০ টাকা দরে বিক্রি করলেও শরবতের সাথে বরফ সংযোজন বাড়িয়েছে ভোক্তা চাহিদা। চাহিদা মাফিক ন্যায্য দামে হৃদয়শীতল করতে পেরে অনেক ভোক্তা করেছেন সন্তুষ্টি প্রকাশ।
সিলেটের হবিগঞ্জ থেকে এসে তারা রায়পুরে শুরু করেছে এই ব্যবসায়। বাসা ভাড়া করে আশ্রয় নিয়েছে উপজেলা শহরের মীরগঞ্জ রোড এলাকায়। নোয়াখালীর চৌমুহনী বাজার থেকে প্রতি বস্তা লেবু ২ হাজার টাকা দরে ক্রয় করে অনুপাতিক হারে ভাগ করে শরবত তৈরিতে ব্যবহার করছে তারা। এতে করে লেবুর দিশেহারা বাজারে হালি প্রতি ২০ টাকা ক্রয়মূল্যে চলছে এই শরবত ব্যবসায়। হৃদয় শুক্রবার (২রা জুন) সকাল থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত প্রায় ১শত গ্লাসের অধিক শরবত বিক্রি করেছে। যা ১০ টাকা হারে হিসেব করলেও প্রায় ১ হাজার টাকা। তবে প্রতিদিন একই হারে ব্যবসায় হয়না বলেও জানিয়েছে সে। এক কথায় বলতে গেলে তাপমাত্রার ওঠানামায় বাঁধা ছোট্ট হৃদয়ের ব্যবসায়। অবশ্য সময়-সুবিধা অনুযায়ী এমন আরো অনেক মৌসুম ভিত্তিক ব্যবসায় জড়িত হন তারা।