দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অভ্যন্তরে ছাই (ফ্লাই এ্যাস) বহণকারী একটি ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে তারেক রহমান (৩৪) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সুলতান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুর ১২টায় বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যান্তরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তারেক রহমান পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের পাটিকাঘাট ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক কোহিনুর রহমানের ছেলে। তিনি বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হারবিন কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের ভাতিজা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক আলি আকবর জানান, তাপবিদুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে তৃতীয় ইউনিটের সামনে ট্রান্সফর্মার ষ্টেশনের পাশের সড়ক দিয়ে ছাই (ফ্লাই এ্যাস) বোঝাই ওলেম্পিয়া কোম্পানির একটি ট্রাক যাচ্ছিল,ওই সড়ক দিয়ে ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ তাই,তারেক ট্রাকটিকে হাত দেখিয়ে বাঁধা প্রদান করলে ট্রাকটি থেমে যায়। এসময় আরও একটি ট্রাক ওই ট্রাককে ওভারটেক করে যাওয়ার সময় সে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্ত্যব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো আবু বকর সিদ্দিক জানান, তাপবিদুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে তৃতীয় ইউনিটের সামনে ট্রান্সফর্মার ষ্টেশনের পাশের সড়ক দিয়ে ছাই (ফ্লাই এ্যাস) বোঝাই ওলেম্পিয়া কোম্পানির ট্রাক যাচ্ছিল,বাঁধা প্রদান করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তারেক। তিনি পিডিবির কোনো স্টাফ ছিলেন না, তিনি চিনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হারবিন কোম্পানির আন্ডারে দোভাষী হিসেবে চাকরি করতো। তিনি খুব ভালো মানুষ ছিল। ঘটনার পর আমরা সবগুলো ট্রাক আটকে রেখে পুলিশ কে খবর দিয়েছি। এবং ওই কোম্পানির মালিককে জানানো হয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সুলতান মাহমুদ জানান,বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ট্রাকটি আটক রয়েছে। মরদেহটি ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে,নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।