ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

পিরোজপুরে কিশোর হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন

শাফিউল মিল্লাত, পিরোজপুর প্রতিনিধি | আপডেট: মঙ্গলবার, মে ৩০, ২০২৩

পিরোজপুরে কিশোর হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন
পিরোজপুরে তানভীর আহসান সাকিব নামে এক কিশোরকে হত্যার দায়ে মো. দুলাল মোল্লা (৩৮), মো. সাইদুল ইসলাম (৩৯), মো. শহিদুল ইসলাম (৪২) ও মো. বেল্লাল শেখ (৩২) নামে চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় মো. আনিছ শেখ (৩৮) ও মো. হাফিজুল শেখ (৩৫) কে খালাস প্রদান করেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মো. দুলাল মোল্লা পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের একপাই জুজখোলা গ্রামের মো. খলিল মোল্লার ছেলে, মো সাইদুল ইসলাম ও মো. শহিদুল ইসলাম একই ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের মৃত ওহাব আলী শেখের ছেলে, মো. বেল্লাল শেখ কদমতলা গ্রামের মো. আলম শেখের ছেলে।

খালাসপ্রাপ্ত মো. আনিছ শেখ পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের পশ্চিম কদমতলা গ্রামের মো. শাহাবুদ্দিন শেখের ছেলে ও মো. হাফিজুল শেখ কদমতলা গ্রামের আব্দুল ওহাব শেখের ছেলে।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সরদার ফারুক আহমেদ জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০১৭ সালের ৬ মে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তানভীর আহসান সাকিব কিছু বন্ধু-বান্ধব নিয়ে মোটর সাইকেলে করে পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা গ্রাম থেকে পোরগোলা গ্রামে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের জনসংযোগের জন্য যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে রাত ৯ টার দিকে একপাই জুজখোলা গ্রামের ধোপাবাড়ি ব্রিজের কাছে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তানভীর আহসান সাকিবকে পিটিয়ে আহত করে। এসময় তার সাথে থাকা বন্ধু বান্ধব ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। পরদিন ৭ মে ভোর ৫ টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তানভীর আহসান সাকিব মারা যায়। এ ঘটনায় পর দিন ৮ মে নিহত সাকিবের মা বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুর সিআইডি পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক মো. সেলিম ৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এ মামলায় ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত চারজন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন এবং অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় দুই জনকে খালাস প্রদান করেন।