পিরোজপুর ইন্দুরকানীতে বোনের ভাশুরকে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করার অভিযোগ উঠেছে ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ইন্দুরকানী উপজেলা জাতীয় পার্টি জেপির দলীয় অফিস কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
সন্ধ্যায় ইন্দুরকানী উপজেলা জাতীয় পার্টি জেপির দলীয় অফিস কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইন্দুরকানী উপজেলার আব্দুল কাদের খানের ছোট ছেলে মোঃ ইব্রাহিম খান তার ছোট বোনের ভাশুর একই গ্রামের মৃত: আব্দুল খালেক এর ছেলে মো: মিজান (৩২) এর সাথে পূর্বের পারিবারিক সমস্যাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। এবং এক পর্যায় মো: ইব্রাহিম খান তার বোনের ভাশুর মোঃ মিজান কে ধারালো চাকু দিয়ে মাথায় ও পেটে কোপ দিলে তাতে মো: মিজান মারাত্মক ভাবে জখম হয় । পরে আহত অবস্থায় মো: মিজান কে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আহত মো: মিজান এর বড় ভাই মো: মনির হোসেন বলেন দেড় বছর আগে আব্দুল কাদের খানের মেয়ের সাথে আমার ছোট ভাইয়ের প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে হয়। যা আমরা পারিবারিক ভাবে তখন মেনে নিতে পারিনি। কিন্তু পরে আমরা বিষয়টি মেনে নিলেও মেয়ের দুই ভাই বিয়ের বিষয়টি এখন পর্যন্ত মেনে নেয়নি। তবে আমার ছোট ভাইয়ের শাশুড়ী তার মেয়েকে দেখার জন্য সব সময় আমাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করে। হঠাৎ করে আজ বিকেলে ছোট ভাইয়ের শাশুড়ী অসুস্থ হয়ে পরেছে এই বলে ভাইর বউকে তার ফুফু ডেকে নিয়ে যায় মেয়ের বাবার বাড়িতে। পরে সন্ধ্যায় মেয়ের ভাই মো: ইব্রাহিম ও তার বাবা আব্দুল কাদের খান পরিকল্পিত ভাবে আমার ভাই মিজান কে খুন করার উদ্দেশ্য তার উপর হামলা করে এতে আমার ভাই মো: মিজান মারাত্মক ভাবে জখম হয়। এছাড়া তিনি আরো বলেন যারা আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করেছে আমি তাদের বিরুদ্ধে সুষ্ট বিচার চাই।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মো: ইব্রাহিম খান বলেন আমার বোনের সাথে মো: মিজান এর ছোট ভাইয়ের দেড় বছর আগে বিয়ে হয় যা আমাদের পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে।
কিন্তু ছোট বোনের বিয়ের বিষয়টি আমরা মেনে নিতে পারিনি। সেই থেকেই আমাদের সাথে আমার বোনের কোনো সম্পর্ক নেই কিন্তু আজ বিকেলে আমার বোন আমাদের বাড়িতে আসলে সন্ধ্যায় আমার বোনের ভাশুর মো: মিজান এর সাথে দেখা হলে তখন আমার বোন আমাদের বাড়িতে কেনো আসে সেই কথা তাকে জিজ্ঞাসা করলে তখন মিজান আমাকে উল্টাপাল্টা কথা বলে তখন আমি মিজান কে একটা চড় মারি তারপর মিজান পাসে থাকা এক ব্যাক্তির নিকট থেকে একটি বেতের লাঠি নিয়ে এসে আমাকে পিছন দিয়ে আঘাত করে তখন তার সাথে আর আমার সাথে হাতাহাতি হলে এক পর্যায় আমার বোনের স্বামী আলী হোসেন এসে আমাকে মারধর করে ও আমার মাথায় কামড় দেয় এতে অজ্ঞান হয়ে আমি মাঠিতে পরে যাই। এবং আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে কে বা কাহারা তাকে কুপিয়েছে এই ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনামুল হক বলেন সন্ধ্যায় উপজেলার সামনে মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা জানতে পারি এবং ঘটনা স্থানে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত মো: ইব্রাহিম খানকে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে বর্তমানে তিনি পুলিশি হেফাজতে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং আহত মো: মিজান কে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পরবর্তীতে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।