দিনাজপুর নবাবগঞ্জে গত (১৬ মে) সকাল ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর থেকে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি মো. ইবনে মাসুদ(৪৩) এর একটি ডিসকভার ১০০ সিসি সাদা-কালো রঙের মোটরসাইকেল চুরি হয়।
এ ঘটনায় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি ইবনে মাসুদ নবাবগঞ্জ থানায় একটি জিডি করে। পরর্বতীতে নবাবগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি চুরির মামলা হয়। থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে (১৭ মে) ভোর পর্যৗল্প এস,আই বিভূতি ভূষণ ব্রতী রায় সঙ্গীয় অফিসার এএসআই মিনহাজুল হক অফিসার ফোর্সের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে। গাইবান্ধা সাদুল্লাপুর থেকে চোরাইকৃত মোটর সাইকেলসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে এক জনকে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক নিজের দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করে।
গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্য মতে এসআই বিভূতিভূষণ ব্রতী রায় সঙ্গীয় এএসআই মিনহাজুল হক সহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহযোগিতায় ১৮ মে হতে ১৯ মে ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে দিনাজপুর কাহারোল উপজেলার কুশট গ্রামের মৃত রাজেন্দ্রনাথ রায় এর ছেলে শ্রী গোবিন্দ চন্দ্র রায় এর বাড়ি থেকে পাঁচটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে পুলিশ।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) জানান, গোবিন্দ চন্দ্র রায় পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। জব্দকৃত মোটরসাইকেল গুলোর মধ্যে Discover-135cc, color-black blue=২ টি,Discover-125cc, color-black-red, ১ টি ,Discover-110cc, color-black red=১ টি, Bajaj CT 100cc, color white-red=১ টি স্থানীয়ভাবে জানা যায়, গোবিন্দ চন্দ্র রায় দীর্ঘদিন ধরে চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয় বিক্রয় করে আসছে। তিনি আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরদের সঙ্গে সমন্বয় করে বিভিন্ন এলাকা হতে চোরাই মোটরসাইকেলগুলো সংগ্রহ করে ভুয়া কাগজপত্র, নম্বর প্লেট তৈরি করে চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রয় করে।
ওসি আরও জানান, উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল গুলো বর্তমানে নবাবগঞ্জ থানা হেফাজতে আছে। নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ দলটি আন্তঃ জেলা মোটরসাইকেল চোর-চক্রের সক্রিয় সদস্যদের গ্রেপ্তার করার জন্য চিরুনি অভিযান অব্যাহত রেখেছে। জব্দকৃত মোটরসাইকেল গুলো বিধি মোতাবেক প্রকৃত মালিকের জিম্মায় প্রদান করা হবে।