বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মোখোর কারণে ৮ নং মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে এখন ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখা যেতে বলা হয়েছে। মহা বিপদ সংকেত বাড়ার সাথে সাথে রোহিঙ্গাদের মধ্যেও আতঙ্ক বাড়ছে। এরই মধ্যে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলছে ব্যাপক প্রচারণা। যারা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে তাদেরকে নিরাপদ স্থান স্কুল, মসজিদ ও মাদ্রাসায় আশ্রয় নিতে মাইকিং করা হচ্ছে।
শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় মুখোর থেকে রক্ষা পেতে বসত বাড়ির ছাউনি রশি দিয়ে শক্ত করে বাঁধা হচ্ছে। ঝুঁকিপুর্ণ স্থানে টাঙ্গানো হয়ে লাল পতাকা।
স্বেচ্ছাসেবকরা ঘুর্ণিঝড় মোখোর খবর মাইকিং করে সতর্ক করছেন। ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলো কে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলেছেন এবং ১০ নং মহা বিপদ সংকেত জানিয়ে দিচ্ছেন। ক্যাম্পের বিভিন্ন পয়েন্টে উঠানো হয়ে বিপদ সংকেত পতাকা।
টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২৬ এর ই-ব্লকের মাঝি (নেতা) মো. আয়াছ জানান- ঘুর্ণিঝড় মোখোর খবর অবগত হয়েছি। আমরা ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা আতংকে রয়েছি। বসত ঘরগুলো দুর্বল ও পুরাতন হয়ে গেছে। এখনোা রোহিঙ্গা পরিবারগুলো রশি, বাঁশ পায়নি। যদি ঘুর্ণিঝড় মোখো আঘাত হানে তাহলে আমরা অতি ঝুঁকিতে পড়বো।
স্থানীয় প্রশাসন জানায়, ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এর মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মাইকিং করে বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সার্বিক সহযোগিতায় সেচ্ছাসেবী টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভূমিধ্বস হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। অনেককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্কুল, মসজিদ ও মাদ্রাসাসহ মজবুত সেন্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামছুদ্দৌজা নয়ন বলেন- কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সাথে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সব রোহিঙ্গা শিবিরের লোকজনকে সতর্ক করা হয়েছে। মাইকিং করে ক্যাম্পের দুর্বল ঘরগুলো বাঁশ ও রশি দিয়ে মজবুত করতে বলা হচ্ছে। পাশাপাশি পাহাড়ে অতি ঝুঁকিপূর্ণদের চিহ্নিত করে সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইন শৃংখলা বাহিনী একাধিক টীম গঠন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।