ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকলেও চট্টগ্রাম বন্দর ও বর্হিনোঙ্গরে পণ্য উঠানামার পাশাপাশি জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস। এদিকে,ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সাতক্ষীরায় ৮৮৭টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়েছেন জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা। এছাড়া মোংলা কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে একটি কনট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।
সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৩০টি স্থায়ী এবং ৫০০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র। এছাড়া পর্যাপ্ত সরঞ্জামসহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, নেভি ও কোস্ট গার্ডের রেসকিউ বোট এবং মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় ৮৮৭টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়টি যদি দিক পরিবর্তন করে তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, মংলা, নোয়াখালী ও বরিশালের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। এতে ঘূর্নিঝড়ের কবলে পড়া এলাকাগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তাই আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা।
অন্যদিকে, মোখার ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষায় প্রস্তুতি গ্রহন করেছে মোংলা বন্দর কতৃপক্ষ, কোস্টগার্ড পশ্চিজোন, সুন্দরবন বিভাগ। নিরাপদ অবস্থানে আনা হচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ গুলো।