ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

পিরোজপুরে পাচারকারীদের আস্তানা থেকে পালিয়ে বাঁচল ২ মাদ্রাসা ছাত্র

শাফিউল মিল্লাত, পিরোজপুর প্রতিনিধি | আপডেট: বুধবার, মে ১০, ২০২৩

পিরোজপুরে পাচারকারীদের আস্তানা থেকে পালিয়ে বাঁচল ২ মাদ্রাসা ছাত্র
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পাচারকারীদের আস্তানা থেকে কৌশলে পালিয়ে বাঁচল আরাফাত (১২) ও বায়েজীদ (১৩) নামের ২ মাদ্রাসা ছাত্র। মঙ্গলবার (৯ মে) রাতে তাদের উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই দিন সকালে পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়া থেকে  ওই দুই মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ হয়। পাচারকারীদের আস্তানা থেকে পালিয়ে আসা ওই ২ ছাত্রকে জেলার ইন্দুরকানীর উমেদপুর গ্রামের পথচারীরা উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে।

পাচারের শিকার হওয়া মো: আরাফাত মঠবাড়ীয়া উপজেলার বকশি ঘটিচোরা গ্রামের হারুন অর রশিদের পুত্র এবং মো: বায়েজীদ একই উপজেলার মিঠাখালী গ্রামের মনির হাওরাদারের পুত্র। তারা উভয়েই জেলার মঠবাড়ীয়া শহরের পাশে কালাইমৃধা নুরানী মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র।

পাচারের শিকার হওয়া আরাফাত ও বায়েজীদ জানায়, তারা মঠবাড়ীয়া শহরের পাশে কালাইমৃধা নুরানী মাদ্রাসায় হিফজ বিভাগে পড়ে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তারা বাজারে খাবার কিনতে বের হয়। এ সময় ৩/৪ জন লোক তাদের সাথে কথা বলে। কথা বলার এক পর্যায়ে তারা ছাত্রদের নাকে স্প্রে করে। এ সময় তারা দৌড়ে পালিয়ে যেতে চাইলে কিছুদূর গিয়েই পড়ে যায়। এরপর সন্ধ্যার আগে তাদের জ্ঞান ফিরলে তারা নিজেদের একটি বাগানের ভেতর দেখতে পায়। সেখান থেকে দূরে বাস-গাড়ীর হর্নের শব্দ পেয়ে পেয়ে হাটতে হাটতে মেইন রাস্তায় আসে এবং মানুষের কাছে জিজ্ঞাসা করে মঠবাড়ীয়ার রাস্তা ধরে হাটতে থাকে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ইন্দুরকানী উপজেলার উমেদপুর গ্রামের আল আমিন তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তার কাছে ঘটনা খুলে বলে। রাতে খবর পেয়ে শিশুর অভিভাবকরা এসে উমেদপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আবুল কালামের মাধ্যমে তাদের নিয়ে যায়।

কালাইমৃধা নুরানী মাদরাসার মোহতামিম ইয়াসিন হোসাইন জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টায় হেফজ বিভাগের ছাত্রদের বিশ্রামের সময় ২ জন ছাত্র আমাদের না জানিয়ে খাবার কিনতে বাহিরে যায়। ঘন্টাখানেক পরে তাদের খোজ পড়লে না পেয়ে আমরা বিষয়টি পরিবারের কাছে অবহিত করি। তিনি আরো জানান, এর ২ বছর আগেও মাদ্রাসার পাশের মসজিদে ঘুমিয়ে থাকা ২ ছেলেকে পাচারকারীরা নাকে রূমাল দিয়ে অজ্ঞান করে নিয়ে গিয়েছিল।

উমেদপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আবুল কালাম জানান, মঠবাড়ীয়া থেকে পাচারের শিকার হওয়া ২ মাদরাসা ছাত্রকে মঙ্গলবার রাতে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।