পিরোজপুর ইন্দুরকানীতে অটোরিকশা চালকদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ১২টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ কালাইয়া গ্রামের ৬নং ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ কালাইয়া গ্রামের মৃত: হামেজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মজিবুর রহমান হাওলাদার (৭০) ও তার ছেলে সহ মোট ২০/২৫ জন মিলে অটোরিকশা চালকদের উপর লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে হামলা চালায় এতে ইন্দুরকানীর আব্দুর রহমান হাওলাদার এর ছেলে অটোরিকশা চালক মো: আজিজুল ইসলাম (১৯), মো: নজরুল মৃধার ছেলে মো: সজল মৃধা (২২) ও মো: রুহুল আমিন দেওয়ান এর ছেলে মো: রবিউল্লাহ দেওয়ান (২৯) মারাত্মক ভাবে আহত হন।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ইন্দুরকানী থানায় নিয়ে আসে।
আহত অটোরিকশা চালক আজিজুল ইসলাম বলেন আমি ইন্দুরকানী বাজার থেকে অটোগাড়িতে করে তাবলীগের হুজুরদের নিয়ে দক্ষিন কালাইয়া গ্রামে যাই। কিন্তু তাবলীগের হুজুররা যে মসজিদে যাবেন বৃষ্টি পরার কারনে সেই রাস্তা ভিজে যাওয়ায় এক্সিডেন্টের ভয়ে আমি সেখানে না যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করি৷ তখন সেখানে থাকা মজিবুর রহমান হাওলাদার নামে এক দোকানদার আমাকে বলে কালাইয়ার গাড়ি যদি ওইখানে যেতে পারে তাহলে তোরা কেনো পারবি না এই বলে আমাকে উল্টোপাল্টা কথা বলে। পরে আমি তাবলীগের হুজুরদের তাদের যায়গায় নামিয়ে দিয়ে আসি। আসার পথে আমি দোকানদার মজিবুর রহমান হাওলাদার কে সেই আমাকে উল্টোপাল্টা কথা বলার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই তারা আমাকে গালিগালাজ করে পরে আমার আর তার মধ্যে কথাকাটাকাটি হলে তারা আমাকে মারধর করে।পরবর্তীতে আমাকে মারধরের কথা অন্য অটোরিকশা চালকরা জিজ্ঞাসা করতে আসলে তখন মজিবুর রহমান হাওলাদার, তার ছেলে সহ মোট ২০/২৫ জন মানুষ আমাদেরকে লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে মারতে থাকে এতে আমি ও আমার আরো দুজন অটোরিকশা চালক মারাত্মক ভাবে আহত হই এবং আমাদের কাছে থাকা দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ প্রায় ৩ হাজার টাকা তারা নিয়ে যায়, আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই ।
অভিযুক্ত মজিবুর রহমান হাওলাদার এর কাছে ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের এখানে মসজিদে তাবলীগের হুজুরদের নিয়ে একটি অটোগাড়ি আসে তখন গাড়িটি এসে আমার দোকানের সামনে দাঁড়ায়, তখন আমি অটোগাড়ির চালককে বলি হুজুরদের আরো সামনে নামিয়ে দিয়ে আসতে দরকার হলে তারা আরো কিছু টাকা ভাড়া বাড়িয়ে দিবে। তারপর চালক হুজুরদেরকে তাদের যায়গায় নামিয়ে দিয়ে আসার পর আমার দোকানের সামনে এসে আমাকে বলে দালালী তো ভালোই করলেন ভাড়াতো দিছে ১০০ টাকা এই কথা বলতে না বলতেই আমার উপর হামলা চালায়৷ এবং আমার ছোট ছেলেকেও মারধর করে।
তাছাড়া তিনি আরো বলেন আমার উপর যে তাদেরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এটা সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনামুল হক বলেন অটোগাড়ি চালকদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। আহতদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।