ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪ |

EN

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে স্টিম পাইপ ফেটে ৩য় ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ

মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর | আপডেট: রবিবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৩

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে স্টিম পাইপ ফেটে ৩য় ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ
দেশের একমাত্র দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্টিম পাইপ ফেটে যাওয়ার কারনে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চালু দু’টি ইউনিটের মধ্যে তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। 

শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার সময় স্টিম পাইপ ফেটে  তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক।  

এঘটনায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। বর্তমানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক নম্বর ইউনিট চালু রয়েছে যা থেকে ৭৫-৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, তা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি সংলগ্ন তিনটি ইউনিট নিয়ে ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে টেকনিক্যোল কারণে একটি ইউনিটকে পর্যাক্রমে ওভার হোলিং এ রেখে দুইটি ইউনিট চালু রাখা হয়। যার মধ্যে এক ও তিন নম্বর ইউনিট চালু ছিল। চালু থাকা দুটি ইউনিটের মধ্যে শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় স্টিম পাইপ ফেটে যাওয়ায় তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার তৃতীয় ইউনিট  থেকে প্রতিদিন ২৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হতো। এই ইউনিট উৎপাদনে রাখতে প্রতিদিন ২ হাজার ৬০০ টন কয়লা ব্যবহার করা হয়।

বর্তমানে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এক নম্বর ইউনিট থেকে ৭০-৮০  মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো আবু বকর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার সময় তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ওখানে প্রচন্ড গরম থাকায় ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঠান্ডা হলেই মেরামত করতে একদিন সময় লাগতে পারে। এতে করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতি হবে কি?  এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, ২৭৫ মেগাওয়াট সম্পন্ন ইউনিট থেকে প্রতিদিন উৎপাদন হতো, এখন উৎপাদন ঘাটতি হবে। এতে গ্রিডে বিদ্যুৎ ঘাটতি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, চালু দু’টি ইউনিটে মধ্যে বর্তমানে ১২৫ মেগাওয়াট সম্পন্ন এক নম্বর ইউনিটি উৎপাদনে রয়েছে। এই ইউনিট থেকে ৭০-৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এতে প্রতিদিন ৯শ’ থেকে এক হাজার টন কয়লা প্রয়োজন হচ্ছে।

অপরদিকে সংস্কারকাজের জন্য দুই নম্বর ইউনিটের ওভারহোলিংয়ের কাজ চলছে। দুই নম্বর ইউনিট চালু হলে ওই ইউনিট থেকে প্রতিদিন ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।