ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪ |

EN

হিট স্ট্রোকে ৭শ' মুরগির মৃত্যু, লোকসানে খামারি

মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর | আপডেট: বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৩

হিট স্ট্রোকে ৭শ' মুরগির মৃত্যু, লোকসানে খামারি
প্রকৃতির বিরূপ আচরণে গত কয়েকদিন ধরে অব্যাহত দাবদহের ফলে অতিরিক্ত গরমে দুর্ভিসহ অবস্থায় পড়েছে মানুষ,পশু পাখিরাও এর ব্যাতিক্রম নয়। এ অবস্থায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় বুসরা এগ্রো ফার্মে হিট স্টকে এক দিনে ৭০০ শত ব্রয়লার মুরগির মৃত্যু হয়েছে। এতে লোকসানে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারী। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অন্য খামারীদের মাঝেও আতংক বিরাজ করছে। অনেক খামারীরা লোকসানে হলেও দ্রত মুরগি বিক্রির চেষ্টা করছেন।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের শমশের নগর গ্রামের মো. বাবু ইসলামের খামারে এ ঘটনা ঘটে। দিনাজপুর আবওহাওয়া অফিস সুত্রে জানাগেছে,বুধবার (১৯এপ্রিল)জেলায় সর্বচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৩ডিগ্রী সেলসিয়াস।গত মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সর্বচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ১ডিগ্রী সেলসিয়াস। খামারি বাবু ইসলাম জানান,তার খামারে মোট এক হাজার ৬০০ মুরগি ছিল। প্রতিটি মুরগির বয়স ছিল ২৯ দিন এবং ওজন প্রায় দুই কেজি। এর মধ্যে মঙ্গলবার বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে অতিরিক্ত গরমের কারণে ৭০০ মুরগি মারা যায়।

গরম থেকে মুরগি বাঁচানোর জন্য খামারের ভেতরে পানি ও বড় ফ্যান ব্যবস্থা ছিল; এর পরেও মুরগি গুলো রক্ষা করতে পারিনি। আর কয়েকদিন থাকলেই প্রতিটি মুরগির ওজন হতো তিন কেজি। খামারি বাবু বলেন, তাই এই গরমে আর মুরগি রাখবো না। যতটুকু আছে সব মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছি। এতে করে কিছু লছ হলেও পুজি হারাতে হবেনা।

মারা যাওয়া ৭০০ মুরগিগুলো বর্তমান বাজার হিসেবে কত দাম হতো ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সোয়া দুই লাখ টাকায় ওই মুরগি গুলো বিক্রি করা যেত। ঈদে বিক্রির জন্য রেখেছিলাম,কি আর করবো সবি কপাল। একই এলাকার খামার মালিক হাবিবুর রহামান রতন বলেন, খাদ্যের যে দাম তারপরও অনেক কষ্ট করে মুরগিগুলো পালন করেছি। আমার এলাকায় এক খামারে গরমে মুরগি মারা গেছে। গরমে এভাবে মুরগি মারা গেলে মুরগি রাখা যাবে না। লোকসান হলেও মুরগি বিক্রি করে দিতে হবে।

উপজেলা পশু সম্পদ অধিদপ্তর সূত্র বলছেন, অতিরিক্ত গরমে মুরগীর হিটস্ট্রোক হচ্ছে। খামারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে কোন কার্যকরি ফল পাওয়া যাবে না। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী উপজেলায় মোট মুরগির খামার ১৭৬টি এর মধ্যে ব্রয়লার মুরগীর খামার ১৫০টি এবং লেয়ার মুরগীর খামার ২৬টি রয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এই ধরনের আবহওয়ায় মুরগির খামারে সবচেয়ে বড় সমস্য হলো তাপমাত্রা। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে খামারের ক্ষতি হবে এটাই স্বাভাবিক। তিনি আরও বলেন, যে সব খামার টিনসেডের সেসব খামারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে ছায়াযুক্ত স্থানে সেড করতে হবে। এছাড়াও টিনের চালার উপরে চট,খড়,পাতা ব্যববহার করা যেতে পারে,এতে কিছুটা শিতল থাকবে সেড।