টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা ২৪ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়েছে তিনটি লার্নিং সেন্টারসহ ৩২টি ঘর। এর মধ্যে ২টি স্থানীয় বাসীন্দার বাড়িও রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দিন গত রাত সাড়ে ১১ টারদিকে ওই ঘটনা ঘটে। কিভাবে আগুনের সুত্রপাত নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ।
রোহিঙ্গা মাঝি (নেতা) আজিম উল্লাহ জানান, রাতে ক্যাম্পের একটি লার্নিং সেন্টার থেকে আগুন লেগে মুহুর্তে এ-৫ ব্লকের ৩২ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কেউ কোন কিছু বাড়ি থেকে বের করতে পারেনি। এছাড়া আগুনের তাপে পাশের ১২টির মত বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আগুন লাগার ঘটনা শুনে যে যার যার মত করে পানি, বালি মেরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে এনজিও সংস্থা আইওএম থেকে দমকল বাহিনীর কর্মীরা এসে এক ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ৩টি লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের ৩০ টি ঘর, স্থানীয় ফাতেমা খাতুন ও জরিনা খাতিনের দুই বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে এই দুই বাড়ির ৭-৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তারা জানান।
খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান ।
তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের ঘর পুড়ার পাশাপাশি এলাকার স্থানীয়দের দুইটি বাড়িও আগুনে ভষ্মিভূত হয়েছে। স্থানীয় অনেক মানুষ আগুন নিভানোর কাজে সহযোগিতা করেছেন। কিন্তুু কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা জানা যায় নি।
এদিকে পুড়ে যাওয়া ঘরগুলো শনাক্ত করে এনজিও সংস্থা আইওএম তাদের শেল্টারের ব্যবস্থা করাার পাশাপাশি ডব্লিউ এফপি (ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম) তাদের খাদ্যের বিষয়ে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করছেন।