ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪ |

EN

ফুলবাড়ীতে মাইকিং করে ইলিশ বিক্রি

মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর | আপডেট: বুধবার, এপ্রিল ১২, ২০২৩

ফুলবাড়ীতে মাইকিং করে ইলিশ বিক্রি
আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী,মাছ ছাড়া আমাদের চলেনা,আর সেই মাছের মধ্যে যদি ইলিশ হয়, তবে তো কথাই নেই, তাও আবার কম দামে।

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরে মাইকিং করে ইলিশ মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে। মাছ কিনতে বাজারে ক্রেতাদেরও উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। বুধবার সকাল থেকে পৌর মাছ বাজারে এমন পরিস্থিতি দেখা মেলে।

পৌর শহরের মাছ বাজারে অন্য দিনের তুলনায় ব্যাপকহারে ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গেছে। ইলিশের আমদানি বেশি ও দাম কম হওয়ায়  ইলিশ কেনায় যেন স্থানীয়দের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ক্রেতারা কে আগে কে পরে কিনেবেন তা নিয়ে বাজারে পড়েছে শোর গোল।

সিদ্দিক,মোজাফ্ফর ও শাবানা বেগম বলেন, সবাই ইলিশ পছন্দ করে। এত দিন দাম বেশি ছিল, তাই  কিনতে পারি নাই। মাইকিং শুনে বাজারে এসেছি ৩০০ টাকা কেজি দরে ২৫০-৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কিনলাম।

মৎস্য ব্যবসায়ী খট্টু ও মালেক  জানান, মাছের আমদানি বেশি কেনার লোক কম। ফলে মাইকিং করে বিক্রি করছেন তারা।

অপরদিকে এক কেজি বা তার একটু বেশি ওজনের ইলিশ ১২০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। মাছ বিক্রেতার কাছে দাম বেশির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, এগুলো বড় এবং ভালো মানের মাছ। এ মাছের স্বাদ বেশি, যার কারণে দামও বেশি।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছা.রাশেদা আক্তার বলেন, ১লা এপ্রিল থেকে ৭এপ্রিল জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ। মৎস সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী প্রতি বছর ১লা নভেম্বর থেকে ৩০জুন পর্যন্ত, আট মাস জাটকা  ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুত ,ক্রয়- বিক্রয় ও বিনিময় সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ থাকে। ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ,এটি রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়ীত্ব। মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে এবং বঙ্গোপসাগরে মৎস্য সম্পদ আহরণে নিষেধাজ্ঞার কারণে ইলিশের  উৎপাদন আনেক বেড়েছে।