গৃহহীন আবুল কালাম সরকারের দেয়া উপহারের ঘর পেয়ে খুব খুশি। এখন বাড়ীর সামনে ফাঁকা জায়গায় বেগুন, মরিচসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করে ভালভাবেই দিন যাপন করছেন। দুর্যোগ সহনীয় সেমিপাকা বাড়ি পেয়ে কষ্টের প্রহর গুনতে গুনতে অসহায়ত্বের দিনের পরিবর্তন ঘটানোর জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এমনটাই বলছিলেন সরকারের দেয়া উপহারের ঘর পাওয়া আবুল কালাম।
আরেকজন হুসনে আরা জানান, আগে মানুষের বাসায় থাকতাম। স্বামী মারা গেছে এবং একমাত্র ছেলের ইনকাম কম হওয়ায় নিজের সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হতো। মানুষের বাসায় কাজ করে অনেক কষ্টে ভাড়া বাসার টাকা শোধ করতাম। কিন্তু এখন প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি পেয়ে দিন শেষে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছি। অনেক ভালো আছি। প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করে হাত তুলে দোয়া করেন হুসনে আরা।
মুজিবর্ষ উপলক্ষ্যে গৃহহীনদের নতুন ঘর উপহার দিয়েছে সরকার। স্থানীয় প্রশাসনের তদারকিতে বাছাইকৃতভাবে প্রকৃত ভুমি ও গৃহহীনরা নতুন বাড়ি পেয়ে পাল্টে গেছে জীবনযাত্রার মান এমনটাই দাবি উপকারভোগীদের।
দিনাজপুরের খানসামায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে দুই ধাপে ৮৫৫টি ঘর দুস্থদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। উপকারভোগীরা সকলে পেয়েছেন বেডরুম, বাথরুম, বারান্দা ও উপরে উন্নতমানের রঙ্গিন টিন সম্মিলিত সেমিপাকা বাড়ি।
খানসামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব ইসলাম জানান, মুজিববর্ষে গৃহহীন থাকবে না কোন পরিবার প্রধানমন্ত্রীর এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সারা দেশের ন্যায় খানসামা উপজেলা প্রশাসন অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছে বলে জানান। প্রকৃত উপকারভোগীরাই এ তালিকায় জায়গা পেয়েছে বলেও জানান তিনি।