গতবছর টুইটারের সিইও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কোম্পানিটিতে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচিত হয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। এবার রাত আড়াইটায় টুইটার কর্মীদের মেইল করে রিমোট অফিস নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। খবর বিজনেস ইনসাইডারের।
গত বৃহস্পতিবার রাতে সিইও মাস্ক মেইলটি পাঠিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন টুইটারের ম্যানেজিং ইডিটর জো শিফার।
তিনি বলেন, "মাস্ক রাতে মেইল করে কর্মীদের জানান, রিমোট অফিস করার সুযোগ নেই। অফিসে এসে কাজ করা বাধ্যতামূলক।"
মূলত মেইলটির মাধ্যমে কর্মীদেরকে টুইটারের রিমোট অফিস নিয়ে বর্তমান পলিসি আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন টেসলা প্রতিষ্ঠাতা।
প্ল্যাটফর্মারের ম্যানেজিং এডিটর জো শিফারের টুইট অনুযায়ী, গত বুধবার কোম্পানিটির সান ফ্রান্সিসকোর অফিস প্রায় অর্ধেক কর্মীশূন্য ছিল।
তবে এর পেছনে রিমোট অফিস করাই একমাত্র কারণ নয়। গত অক্টোবরে মাস্ক টুইটারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর প্রায় ১৩০০ কর্মী ছাঁটাই করেছেন। তাই কোম্পানিটির কর্মী সংখ্যা এমনিতেও কমে এসেছে।
বিজনেস ইনসাইডারের পক্ষ থেকে মাস্কের এ মেইল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হলে টুইটারের থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এমনকি গত সপ্তাহে প্ল্যাটফর্মটির কমিউনিকেশন টিমও ছাঁটাই করা হয়েছে। বর্তমানে ইমেইলের মাধ্যমে প্রেস অফিসের পক্ষ থেকে জনসংযোগ করা হচ্ছে।
তবে কর্মীদের মধ্যরাতে নির্দেশনা দিয়ে মেইলের ঘটনা মাস্কের জন্য নতুন নয়। এর আগেও গত বছরের নভেম্বরে রাত ২.৩৯ মিনিটে রিমোট অফিস বাতিলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে মেইল করেছিলেন এ ধনকুবের।
রিমোট অফিসকে অবশ্য আরও আগে থেকেই খুব ভালো চোখে দেখেন না মাস্ক। গত বছর মেতে করোনা মহামারির সংক্রমণ কমে আসলে তিনি টেসলা কর্মীদের পুরো সময় অফিসে এসে কাজ করার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মাস্কের এ কড়া বার্তার পর টেসলার পক্ষ থেকে কর্মীদের অফিসে এসে কাজ করার বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটর করা হয়। এমনকি প্রতিনিয়ত অফিসে এসে কাজ করতে না পারলে অন্য কোথাও চাকরি খোঁজার কথাও বলেন কোম্পানিটির সিইও।
মাস্ক মনে করেন, করোনা মহামারির সময় কর্মীরা হোম অফিস করে অলস হয়ে গিয়েছে। যদিও বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ তার এ ধারণার সাথে একমত নন।