মাদারীপুরের শিবচরে রেলিং ভেঙে বাস খাদে পড়ে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৬ জনের পরিচয় জানা গেছে।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম জানিয়েছেন, রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে কুতুবপুর এলাকায় ঢাকা ভাঙ্গা হাইওয়ে এক্সপ্রেস রেলিং ভেঙে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়া বাসে নিহতদের ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জনের পরিচিত নিশ্চিত করা গেছে।
নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জ সদরের আবু হেনা মস্তফার মেয়ে কৃষিবিদ আফসানা মিমি, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার হিতোডাঙ্গা গ্রামের সৈয়দ মুরাদ আলীর ছেলে মো. ইসমাইল (৩৮), গোপালগঞ্জের গোপীনাথপুর গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে হেদায়েত মিয়া বাহার (৪২), নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কালনা গ্রামের বকু সিকদারের ছেলে ফরহাদ সিকদার (৩০), গোপালগঞ্জ সদরের শান্তি রঞ্জন মণ্ডলের ছেলে পরিবার পরিকল্পনার ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক অনাদী রঞ্জন মজুমদার (৪২), গোপালগঞ্জের বনগাঁও এলাকার সামচুল শেখের ছেলে মোস্তাক আহমেদ (৩০), গোপালগঞ্জ সদরের ছুটকা গ্রামের নশর আলী শেখের ছেলে সবজি শেখ, গোপালগঞ্জ সরদারের পাচুরীয়া গ্রামের মো. মাসুদের মেয়ে সুইটি আক্তার (২২), গোপালগঞ্জর টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কাঞ্চন শেখের ছেলে মো. কবির শেখ, গোপালগঞ্জ মোকসেদপুর উপজেলার আমজাদ আলীর খানের ছেলে মাসুদ খাঁ (৩২), খুলনার সোনাডাঙার শেখা আহমেদ আলী খানের ছেলে শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪২), খুলনার চিত্ত রঞ্জন মণ্ডলের ছেলে চিন্ময় প্রসন্ন মণ্ডল, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার পরিমল সাধুর ছেলে মহাদেব কুমার সাধু, খুলনার টুটপাড়ার শাজাহান মোল্লার ছেলে আশরাফুল আলম লিংকন, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সখীপুর গ্রামের আমজেদ আলী সরদারের ছেলে রাশেদ সরদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের আলী আকবরের ছেলে জাহিদ।
স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় শিবচরে ১৬ জন এবং ঢাকা মেডিকেলে আরও দুইজনসহ ১৯ জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনায় মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরাকে আহ্বায়ক করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।