'আমি যোগদানের পর থেকেই দেখছি ফরিদপুর জেলায় শিক্ষা ব্যবস্থা বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে। ফরিদপুর জেলা শিক্ষার দিকে পিছিয়ে। আগামীর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। স্কুল টাইমে একটি ছেলে-মেয়েও যেন স্কুলের বাইরে ঘোরাফেরা না করে। যদি স্কুল টাইমে ছাত্র-ছাত্রীরা বাইরে দিয়ে ঘোরাঘুরি করে তবে ইউএনও এবং এসিল্যান্ডদের সেসব ছাত্র-ছাত্রীদেরকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।'
এ সময় তিনি আরো বলেন, 'শিক্ষকদের বলবো প্রাইভেট পড়ালে যদি শিক্ষার্থীরা বুঝে তাহলে শ্রেণি কক্ষেও বুঝবে। শ্রেণি কক্ষ বুঝেনা প্রাইভেটে বুঝে, এমন সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শিক্ষকের নিকট প্রাইভেট না পড়লে শিক্ষার্থীদের নম্বর কম দেওয়ার একটি সংস্কৃতি রয়েছে, এমন অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিভাবকদের বলবো আপনাদেরও ভূমিকা রাখতে হবে, আপনাদেরও শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করতে হবে।'
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার পিএএ এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিকেল ৫টায় উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কাদিরদীতে অবস্থিত কাদিরদী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে বিদ্যালয় কর্তৃক এই অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং আমানা গ্রুপের পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অভিভাবক সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও মোশারেফ হোসাইন, কাদিরদী কলেজের অধ্যক্ষ মো. নুরুজ্জামান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত কুমার দাস, সাতৈর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রাফিউল আলম মিন্টু, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের দাতা সদস্য রেহেনা বেগম, মহিলা অভিভাবক সদস্য মোসা. জেসমিন আক্তার, কো-অপ্ট সদস্য মো. মোতালেব মোল্যা, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাফিউল্লাহ শাফি প্রমুখ।