আজ ১২ মার্চ, বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস। জনসাধারণকে গ্লুকোমা সম্পর্কে সচেতন করতে আগামী ১৮ মার্চ পর্যন্ত পালিত হবে বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ। এবারের স্লোগান- ‘The world is bright, save your sight’ অর্থাৎ ‘পৃথিবী উজ্জ্বল, নিজের দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করুন’।
মানুষের চোখের অন্ধত্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ হচ্ছে গ্লুকোমা। এ ছাড়া চল্লিশোর্ধ্ব বয়সের মানুষের মধ্যে ২ দশমিক ৮ শতাংশেরই গ্লুকোমা রোগ রয়েছে। তবে গ্লুকোমা কোনো একটিমাত্র অসুখ নয় ৷ এটি আসলে চোখের অনেকগুলি সমস্যার একটি সমষ্টি ৷ যার জেরে চোখের মধ্যে থাকা এবং দৃষ্টিশক্তির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত স্নায়ুগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৷ যদি সঠিক সময় রোগ নির্ণয় ও নিরাময় না করা হয়, তাহলে আক্রান্ত ব্যক্তি চিরতরে তার দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন ৷
গ্লুকোমা সাধারণত তিন ধরনের হয়। এগুলো হলো- ওপেন অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমা, অ্যাঙ্গেল ক্লোজার গ্লুকোমা এবং নরম্যাল টেনশন গ্লুকোমা ৷
গ্লুকোমা চোখের একটি জটিল রোগ। এই রোগকে নিরব ঘাতক বলা হয়। চোখের অভ্যন্তরীণ উচ্চ চাপই এই রোগের প্রধান কারণ। যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে চোখের স্বাভাবিক চাপেও এই রোগ হয়ে থাকে। চোখের এই অভ্যন্তরীণ চাপ চোখের অতি সংবেদনশীল অপটিক নার্ভ, যার মাধ্যমে চোখ মস্তিষ্কের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে তাকে চিরতরে নষ্ট করে দেয়। ফলে মানুষ অন্ধত্ব বরণ করে।