কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়। এতে জমি উর্বরতা হারাচ্ছে এবং পাশ্ববর্তী জমিগুলো ভেঙে পড়ছে।
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার ধানকাটি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড বেতমোড়ার দক্ষিণ পাশে, নুরু চৌকিদারের বাড়ি ও কনেশ্বর ইউনিয়নের শিবার বটতলা পশ্চিম পাশে এমনটাই ঘটছে। সেখানে কৃষি জমির মাটি এনে বিক্রি হচ্ছে পাশবর্তী ইউনিয়নের ঘরবাড়ি রাস্তা ও ইটভাটায়।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ২ টি ইউনিয়নে ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে গভীর করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে কয়েক জমির মাটি কাটা শেষ হয়েছে। স্থানীয় কৃষক সজীব ঢালী বলেন, যুগ যুগ ধরে এই মাঠে ফসল করে আসছি আমরা। ধান,আলু, ভুট্টা,শাক সবজি আবাদ হয় এসব জমিতে। হঠাৎ করে এই জমিতে মাছের খামার করবেন বলে জমিগুলোর মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন। এই ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে কোনো আলাপ করেননি কেউ।
আরেক কৃষক আবু সাইদ বলেন, এলাকার প্রভাবশালী হাবিব মাটি কাটার টেন্ডার নিয়েছেন। তিনি ইটভাটার ও ঘরবাড়ি'র মালিকের সঙ্গে চুক্তি করে ফসলি জমিগুলোর ক্ষতি করছেন। তারা আমাদের জমির পাশ থেকে গর্ত করে মাটি কাটছে। আমাদের জমিগুলোতেও এখন আর ফসল হবে না। সারা বছর জমিতে পানি আটকে থাকলে ফসল হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। আমরা এই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ভেকু দিয়ে মাটি কাটার টেন্ডার নেওয়া হাবিব বলেন আমি মাটি কিনে বিক্রি করি এটা প্রশাসন জানে। কৃষি জমি কিনা এটা দেখার দাইত্ব আপনার নয়!। আমি ২ মাস ধরে কাজ করছি প্রশাসন সবই জানে।আমি উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে কাজ করছি। আপনি ইউএনও'র সাথে কথা বলেন।
এ বিষয়ে ডামুড্যা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ মোঃ সেকান্দার বলেন, জমির উপরের অংশের মাটি কেটে বিক্রি করা খুবই ক্ষতিকর। কারণ এই মাটি খুবই উর্বর থাকে। একবার মাটি কাটা হলে ১৫-২০ বছরও সেই ক্ষতি পূরণ হয় না। কৃষি জমির যে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি হচ্ছে আপনার মাধ্যমে জেনেছি। আমি বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করবো।
ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাছিবা খান বলেন, বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুসারে কৃষি জমি থেকে মাটি ড্রেজিং কিংবা অন্য কোনোভাবে কেটে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করার সুযোগ নেই। আমরা আপনার মাধ্যমে জেনেছি কৃষি জমির মাটি কাটা হচ্ছে। আমরা অতি শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।