সাভারে দশ কেজি গাঁজাসহ ইসরাফিল অপু (২৮) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভারের রেডিও কলোনী সংলগ্ন নয়াবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ইসরাফিল অপু সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সোহেল রানার ঘনিষ্ঠ অনুসারী। তিনি ভোলা জেলার সদর উপজেলার মাঝিরহাট গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে। বর্তমানে সাভারের মজিদপুর ইটখোলা এলাকায় বসবাস করতেন। তার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন সড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে সাভারে মাদক ব্যবসা করে আসছিল ইসরাফিল অপু নামের এই মাদক ব্যবসায়ী। সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভার মডেল থানাধীন রেডিও কলোনীর নয়াবাড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে দশ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। কুমিল্লা ও নারায়নগঞ্জ থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে সাভার ও আশেপাশের এলাকায় বিক্রির বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন ইসরাফিল অপু।
ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে মঙ্গলবার দুপুরে আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা জানান, সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সোহেল রানার সহযোগিতায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েন ইসরাফিল। এর আগে সাভারের মজিদপুর এলাকায় সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নামে অস্থায়ী কার্যালয় খুলে সেখানে বসে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক সরবারহ করতেন ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী।
সেই কার্যালয়ের পাশ্ববর্তী বিরুলিয়া সড়কের বিভিন্ন পরিবহণ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করতেন তারা। পরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের পর মজিদপুরের সেই কার্যালয় ছেড়ে দিয়ে রেডিও কলোনী সংলগ্ন নয়াবাড়ি এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করে আসছিলেন তারা।
এদিকে মাদকসহ ইসরাফিল অপুকে প্রেপ্তারের খবরে এখন পলাতক রয়েছেন সোহেল রানা, ফিরোজসহ এই মাদক চত্রের অন্যান্য সদস্যরা। গত বছর পুলিশের হাতে এই চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের ছবি বিকৃত করে ভয়ংকর অপপ্রচারে লিপ্ত হয় তাদের অনুসারীরা।