কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন দুই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুনে ওই ক্যাম্পের দুই হাজারের বেশি অস্থায়ী সেল্টার পুড়ে গেছে। আংশিক পুড়েছে ১০ ও ১২ নাম্বার ক্যাম্প।
রবিবার (৫ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে এই আগুন লাগে।
ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, 'প্রায় দুই ঘণ্টা বেশি সময় পর ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরির কাজ শুরু করছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, দুই হাজারের বেশি ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। তারমধ্যে ৩৫টি মসজিদ ও মাদ্রাসা পুড়ে গেছে। এছাড়া হাসপাতাল ও হেলথ সেন্টারসহ ১৫টি প্রতিষ্ঠান পুড়েছে। কীভাবে আগুনের ঘটনা ঘটছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নাশকতার উদ্দেশ্যে কেউ আগুন লাগিয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী। ওসি জানান- রোববার বিকেলে বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের বি-ব্লকে হঠাৎ করে আগুনের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন বিভিন্ন বসতঘরে ছড়িয়ে যায়। আগুন আশপাশের ১০, ১১ ও ১২ নম্বর আশ্রয় শিবিরেও ছড়িয়ে পড়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। প্রাথমিক তথ্য মতে, আগুনে অন্তত দুই হাজারোধিক বসত ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত উখিয়ার ক্যাম্পের বাসিন্দা শফিক উল্লাহ বলেন, 'আগুনে সব পুড়ে যাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে গেছি। এখানে বহু ঘরবাড়ি ও দোকানপাট আগুনে পুড়ে। বেশ কিছু দোকানপাটও ছিল। এখানে বারবার আগুন লাগার পেছনে রহস্য রয়েছে। তাই ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না।