বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ আব্দুর রহমান বলেন, 'সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই দেশে ধর্ম পালনের নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর আজীবনের স্বপ্নের ফসল এই বাংলাদেশ। যার যার ধর্ম বিশ্বাস থেকে তার তার ধর্ম পালন করবে এবং সেই ধর্ম পালন মানুষের কল্যানের জন্য হবে। ধর্ম পালন মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য বাড়াবে, মানুষে মানুষে সম্প্রীতি বাড়াবে, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে ভালোবাসা রচিত হবে। ধর্ম পালন করবো যার যার ধর্ম বিশ্বাস থেকে। পরস্পরের ধর্ম বিশ্বাসের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে, ভালোবাসা থাকতে হবে।'
তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, '১৯৯০ সালে এই বোয়ালমারীতে মন্দির ভাংচুর করা হয়েছিল, সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনদের উপর হুমকি প্রদর্শিত হয়েছিল। সেদিন আমি সবেমাত্র ছাত্রলীগ থেকে বিদায় হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করি। সেদিন আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিক এবং জাতীয় নেতৃবৃন্দদেরকে নিয়ে ডাকবাংলোয় প্রতিবাদ সভা করেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর একজন ক্ষুদে কর্মী হিসেবে আমি সেদিনও আপনাদের পাশে ছিলাম, পাশে আছি এবং পাশে থাকবো।'
শুক্রবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বোয়ালমারী বাজার সর্বজনীন শ্রী শ্রী রক্ষা চণ্ডী মন্দিরে আয়োজিত ৩২ প্রহরব্যাপী শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠানের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান মীরদাহ পিকুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, আইনবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট জালালউদ্দিন, জেলা যুবলীগের সদস্য শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু, দাউদুজ্জামান দাউদ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী রায়হান রকি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল সিকদার, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আশিকুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মর্তুজা আলী তমাল, সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকী, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুর রহমান ফাহিম, সাধারণ সম্পাদক মিদুল, মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রণব সিকদার, মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান কমিটির সভাপতি কুমারেশ কুন্ডু, সাধারণ সম্পাদক মদন কুমার দাস, বাসুদেব সাহা প্রমুখ।