সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় মোবাইলে টিকটক ভিডিও বানানো নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে সাইফুল আলম (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক।
বুধবার (১ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছাতক সুরমা ব্রিজের গোলচত্ত্বর এলাকায় শহরের ভাসখালা ও কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত সাইফুল উপজেলার মুক্তিরগাঁও গ্রামের মৃত চমক আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছাতক সুরমা সেতুতে দুই তরুণী বেড়াতে আসে। তখন দুই যুবক টিকটক ভিডিও করে এবং মেয়েদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। এসময় তাদের বাধা দেয় ভাসখালা গ্রামের আহাদ মিয়ার ছেলে রাজ্জাক, আহমদ আলীর ছেলে মান্নাসহ তাদের সহযোগীরা।
এ সময় মুক্তিরগাঁও গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে মামুনের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে মামুনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ নিয়ে প্রথমে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। পরে দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে সাইফুল আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে সিলেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে।
প্রায় ৪ ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় হওয়া সংঘর্ষে উভয়পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। সংঘর্ষকারীরা গোলচত্ত্বর এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর করেছে। এসময় একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
ছাতক সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রনজয় চন্দ্র মল্লিক জানান, টিকটক ভিডিও বানানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।