ভোজ্য তেলের বৃদ্ধির কারণে সরিষা চাষাবাদে ঝুকে পড়ে জয়পুরহাটের পাঁচবিবির কৃষকেরা। অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষা চাষাবাদে সামান্য পরিচর্যা আর অল্প খরচে বেশি লাভের আশা করছেন কৃষকেরা। কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার সরিষা বাম্পার হয়েছে।
ইরি-বোরো ধান চাষের আগে সরিষার চাষ করে বাড়তি আয় করছেন কৃষকরা। ধান কাটার পর জমি কয়েক মাসের জন্য পরিত্যক্ত থাকে, আর সেই জমিতে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষার চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। বাজারে সরিষার ভালোদাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাসি। জমি থেকে সরিষা তুলে কৃষকেরা এখন বোরো ধান আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,চলতি বছর উপজেলায় ৫ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এবার ৩শ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষার চাষ হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চলতি মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল জাতের বারি-১৪, বারি-১৫, টোরি-৭,বা মাঘি সরিষা ও রাই সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠ জুড়ে পাকা সরিষার সমারোহ।
কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন সরিষা কাটার কাজে। বসে নেই কৃষানিরাও। মাড়াই করা সরিষা রোদে শুকানোর কাজে ব্যস্ত তারাও। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছর ৩৩ শতাংশে ১বিঘা জমিতে সরিষা চাষাবাদে করতে খরচ হয়েছে সাড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।আর চলতি মৌসুমে এক বিঘা জমিতে সরিষার ফলন হয়েছে ৭ থেকে ৮ মন সরিষা ।
বর্তমানে বাজারে এক মন সরিষা বিক্রি হচ্ছে ২৩শ থেকে ২৪শ টাকা। খরচ বাদে প্রতি বিঘায় কৃষকের লাভ ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় খুশি তারা। এদিকে সরিষা ঘরে তোলার পর কৃষকেরা ইরি-বোরো ধান আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বীরনগর গ্রামে সরিষা চাষি মফিদুল, জালাল, জায়বর আলী, ধরঞ্জী গ্রামের শাহিনুল, শহিদুল জানান সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে দামও ভালো। এবার ইরি লাগানোর আগে সরিষা আবাদ করে ভালই লাভবান হয়েছি। এখন বোরো ধান রোপনে কাজ শুরু হয়েছে।
পাঁচবিবি উপজেলার কৃষিবিদ মোঃ লুৎফর রহমান জানান, সরিষা চাষের জন্য কৃষকদের মাঝে বীজ, সার,প্রনোদনা দেওয়া ও সরিষা চাষের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সরিষা ঘরে তোলার কাজ চলছে। এবার বাম্পার ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকেরা উপকৃত হয়েছে।