সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি বলেন,মাদকের কারণে আমাদের আগামীর প্রজন্ম ধ্বংস হচ্ছে। এবিষয়ে আমরা এখনি সতর্ক না হলে,আমাদের সকল অর্জন বিলিন হয়ে যাবে। মাদকের সাথে জড়িতদের সামাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে,এটিও একটি যুদ্ধ হতে পারে,মাদকের বিরুদ্ধে।
রোববার (১২ই ফেব্রয়ারী) দুপর ১২টায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে আয়োজিত মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি,সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি বলেন, সকলকে সচেতন হতে হবে,আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মাদক ব্যবসায়ীরা দেশ ও সমাজের শত্রæ,তিনি জনপ্রতিনিধিদের উদ্যেশে বলেন,মাদকের সাথে জড়িত এমন ব্যাক্তিদের সরকারী সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দেয়া থেকে বিরত রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আলমগীর কবির, পিএসসি।
এতে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, রংপুর সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত রিজিয়ন কমান্ডার কর্নেল মো. আনোয়ার লতিফ খান বিপিএম (বার) পিএসসি,দিনাজপুর সদর দপ্তরের সেক্টর কমান্ডার লে. রাশেদ আজগর, দিনাজপুর জুডিশিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শাহ নেওয়াজ, উপ-কমিশনার কাষ্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ এর রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম প্রমুখ ।
২৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আলমগীর কবির, পিএসসি বলেন, ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি মাদক নির্মূলের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত "জিরো টলারেন্স" নীতি নিশ্চিতকল্পে বদ্ধ পরিকর। বিজিবি সদস্যরা সীমান্তের অত্যন্ত প্রতিক‚ল পরিবেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন রাত মাদক নির্মূল অভিযান পরিচালনা করে আসছে। গত ১লা মে ২০২২ হতে ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ পর্যন্ত ৮ মাসে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য আটক করতে সক্ষম হয়েছে। আটককৃত বিভিন্ন ধরণের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়। ধ্বংসকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে ছিল, ভারতীয় ফেন্সিডিল ১৫ হাজার ৮৮ বোতল, এমকেডিল ১ হাজার ২০৩ বোতল, ইয়াবা ট্যাবলেট ৩ হাজার ৯২২ পিস, গাঁজা ৬৩ কেজি ২০০ গ্রাম, বিদেশী মদ ১ হাজার ২৭২ বোতল, দেশী মদ ৫৪ দশমিক ২৫ লিটার, বিভিন্ন প্রকার নেশা জাতীয় ইনজেকশন ২০ হাজার ১৬৪ পিস, যৌন উত্তেজক সিরাপ ৪৫ হাজার ৭৫৩ বোতল, হেরোইন ০.০১৭ কেজি এবং ০.০০২ কেজি আফিম। এগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। আদালতের অনুমতিক্রমে এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ওইসব জব্দকৃত মাদকদ্রব্যগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ্যে ধ্বংস করা হয়।
মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে র্যাব সদস্য,থানা পুলিশ,জনপ্রতিনিধি,শিক্ষক,শিক্ষার্থী,গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।