ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পদ্মা নদীর চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের জলমহাল এলাকায় গত রোববার সকালে দু'টি স্পীট বোটের মুখোমুখী সংঘর্ষজনিত দুর্ঘটনার শিকার মোঃ শহীদুল ইসলাম (৩০) দু'দিনেও উদ্ধার হয়নি।
নিখোঁজ শহীদুল ইসলাম চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের মৃত শেখ চান মিয়ার ছেলে। সে ঢাকার মীরপুরে গাড়ীর যন্ত্রাংশর ব্যবসা করত। ঘটনার দিন ভোররাতে সে ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়ে বাড়ী ফেরার পথে পদ্মা নদী পারাপারের জন্য দুর্ঘটনা কবলিত ষ্পীডবোটে উঠার পর আর ফিরে আসেনি।
এদিকে গত দু'দিন ধরে নিখোঁজের স্বজনরা পদ্মা নদীকে ট্রলারযোগে বিভিন্ন জলমহাল খুঁজেও নিখোঁজের কোনো সন্ধান পায় নাই বলে জানিয়েছেন।
নিখোঁজের বড় ভাই শেখ শাজাহান জানান, ঘটনার দিন গ্রামের বাড়ীতে জমি পরিমাপের দিন ধার্য ছিল। তাই ভোর রাতে ব্যাবসায়ী শহীদুল ইসলাম ঢাকা থেকে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ওই দিন স্পীডবোট দুর্ঘটনার পর থেকে পদ্মা নদীর মৈনট ঘাট কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ফাঁড়ি ও দোহার থানা সহ সংশ্লিষ্টদের অবগত করার পরও নিখোঁজ শহীদুল ইসলামের কোনো সন্ধান পাওয়া যায় নাই। এ ব্যপারে চরভদ্রাসন থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে ।
নিখোঁদের ব্যাপারে সোমবার বিকেলে চরঝাউকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান মৃধা জানান, " দুর্ঘটনা কবলিত স্পীডবোটে যাত্রী ছিল ১৮ জন। স্পীডবোট দুর্ঘটনার পর উদ্ধার হয়েছে ১৬ জন। বাকী ২ জন নিখোঁজ রয়েছে। তবে এখনো পদ্মা নদীতে কোনো ডুবুরী দল নামানো হয় নাই। তিনি পদ্মায় ডুবুরী দল নামানোর জন্য ইউএনও'র সাথে আলাপ করবেন বলে জানান"।
চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা বলেন, " শীঘ্রই নিখোঁজদের সন্ধানের জন্য পদ্মা নদীতে ডুবুরী দল নামানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে"।
চরভদ্রাসন ফায়ার ষ্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্তজা জানান, " আমি ইতিমধ্যে পদ্মা নদীর ঘটনাস্থল চিহ্নিত করেছি, রাত্রে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই আগামীকাল ডুবুরী দল পদ্মা নদীতে কাজ করবে"।