ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

প্রেমিকাকে লেখা ব্রান্ডোর বিচ্ছেদের চিঠি উঠেছে নিলামে

বিনোদন ডেস্ক | আপডেট: শনিবার, ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২৩

প্রেমিকাকে লেখা ব্রান্ডোর বিচ্ছেদের চিঠি উঠেছে নিলামে
রগচটা মেজাজের জন্য খ্যাত ছিলেন মার্লোন ব্রান্ডে; হলিউডের ‘ব্যাডবয়’র প্রেমের সম্পর্কে ইতি টানারও কারণ ওই বদমেজাজ। প্রেমিকাকে পাঠানো ব্রান্ডোর হাতে লেখা সেই চিঠি বিক্রির জন্য উঠেছে নিলামে।

১৯৪৭ সালে ‘আ স্ট্রিটকার নেমড ডিজায়ার’ সিনেমার পর ব্রান্ডো ও সোলাঞ্জ পেডেলের আলাপ শুরু, এরপর প্রেম। লাস্ট ট্যাঙ্গো ইন প্যারিস তারকা বছর খানেক পরে তার ফরাসি প্রেমিকা পেডেলকে ওই চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন।

ধারণা করা হচ্ছে, নিলামে ওই চিঠির দাম ১৫ হাজার মার্কিন ডলারে উঠতে পারে।

বোস্টনের আরআর নিলাম কোম্পানিটি অনলাইনে চিঠিটি নিলামে করছে; দর হাঁকার শেষ সময় ধরেছে ৯ ফেব্রুয়ারি।

সিএনএন জানিয়েছে, ওই চিঠির বৈশিষ্ট্য হল তাতে কিছু ভুল বানান দেখা দেখা গেছে। কিছুটা ভাববাচ্যে লেখা ওই বার্তায় ব্রান্ডো তার প্রেমিকা নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী সোলাঞ্জ পেডেলের সঙ্গে সম্পর্কের সমাপ্তি টানতে চেয়েছেন সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে।

পেন্সিলে লেখা তিন পৃষ্ঠার চিঠিতে ব্রান্ডো লিখেছেন, “বিচ্ছেদের ব্যাখ্যা দিতে এই চিঠিটি লিখছি। এছাড়া তুমি যাতে আমার উপরে বিরক্ত না হন, সেটিই একটি কারণ। আমার চঞ্চল এবং উত্তপ্ত মেজাজের সুবিধা নিয়ে আপনার অনুভূতির অপমান বা অবমাননা করতে চাই না।”

এই অভিনেতা আরও লিখেছিলেন, “দয়া করে এই চিঠিটি খোলা হৃদয়ে গ্রহণ করুন। কারণ আমার বক্তব্য আমি আন্তরিকতার সাথে জানাচ্ছি। আমি দুঃখিত যে, আমি শুধু নিজেকে তৃপ্ত করার বিষয়ে রাশ টানতে কঠোর হতে পারতাম। দুজনের বিষয়ে আরও একটু সহনশীল হতে পারতাম। আমার অর্ন্তদৃষ্টি আরও একটি বিচক্ষণ হতে পারত। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমার আবেগ স্থির নয়।”

প্রেমিকাকে শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবেন বলেও সেই চিঠিতে প্রতিশ্রুতি দেন ব্রান্ডো। এও আশ্বাস দেন যে, পরবর্তীকালে তারা যখন আবার ফ্রান্সে একে অন্যের সঙ্গে দেখা করবেন, তার (ব্রান্ডো) আচরণ আরও পরিপক্ক থাকবে।

তিন পৃষ্ঠায় মনের ভাব প্রকাশের পরও ব্রান্ডোর ওই চিঠিতে পুনশ্চও ছিল। তাতে প্রেমিকা সোলাঞ্জ পেডেলের মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ব্রান্ডো। এছাড়া ‘মার্লনের উষ্ণতার সাথে’ লিখে সই করেন ওই অভিনেতা।

ব্রান্ডোর অভিনয়ে অভিষেক ১৯৪৪ সালে। ‘আই রিমেম্বার মামা’ নামের ব্রডওয়ে থিয়েটার দিয়ে তার অভিনয় অধ্যায় শুরু। এরপর হলিউডে ‘দ্য ম্যান’ সিনেমায় এক যুদ্ধ ফেরত যুবকের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি স্বরূপে আবির্ভূত হন।

১৯৭২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘গডফাদার’ সিনেমায় অভিনয় খ্যাতিতে ঝড় তোলেন ব্রান্ডো। নির্মাতা ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা মারিও পুজোর উপন্যাসকে রুপালি পর্দায় এসে তুমুল খ্যাতি এনে দেন ব্রান্ডোর অভিনয় ক্যারিয়ারে।

ব্রান্ডো তার জীবদ্দশায় মোট আটবার অস্কার পুরস্কারের মনোনীত হন, আর দুবার জিতে নেন বিশ্ব চলচ্চিত্রের সেরা সম্মানের এই পুরস্কারটি।

৮০ বছর বয়সে ২০০৪ সালে মারা যান ২০ শতকের বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী অভিনেতাদের একজন এই হলিউড তারকা।