ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেছেন, ‘২০১৪ সালে কয়েকটি পরিবার ও একজন ব্যক্তির বিপক্ষে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। ২০১৮ সালে আমার যোগ্যতার মূল্যায়ন করেছেন। জেলা পরিষদে ফরিদপুর জেলা জয় করেছি। আগে ফরিদপুর জেলার তিন উপজেলা নিয়ে খেলেছি, জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা নিয়ে খেলেছি। আগামীতে দক্ষিণবঙ্গ নিয়ে খেলব। জেলা-উপজেলা নয়, সারা দেশ জয় করব।’
শুক্রবার বিকালে বাবলাতলা ও গঙ্গাদরদী নদীর ওপর এআর ভুঁইয়া সেতু উদ্ধোধন শেষে গঙ্গাধরদী প্রাইমারি স্কুলমাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নিক্সন বলেন, ‘আজ যার নামে সেতুটি নির্মাণ করে উদ্ধোধন করলাম সেই এআর ভুঁইয়া বঙ্গবন্ধুর বাল্যবন্ধু ছিলেন। তিনি আর বঙ্গবন্ধু একসঙ্গে চলেছেন, তারা একসঙ্গে ডিঙ্গি নৌকায় অনেক ঘুরেছেন বলে শুনেছি। তাদের একসঙ্গের অনেক ছবি দেখেছি।’
ফরিদপুর-৪ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ৪০ বছরের অবহেলিত ভাঙ্গাকে গত ৯ বছরে উন্নয়ন করেছি। করোনাকালীন আমি আপনাদের সঙ্গে সব সময় ছিলাম। গরিব-দুখী মানুষের সহায়তা করেছি এবং আগামীতে যেকোনো দুর্যোগে আপনাদের পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।’
এর আগে গঙ্গাধরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় দুপুরের পর থেকেই নেতা-কর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন হাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল সহকারে আসেন। একপর্যায়ে জনসভার মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার উপজেলা হলো ভাঙ্গা। প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ অঞ্চলবাসীকে পদ্মা সেতু ও হাইওয়ে এক্সপ্রেস, পায়রা সেতু, কালনা সেতু, রেল যোগাযোগসহ নানা উন্নয়ন উপহার দিয়েছেন। এসব উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আপনারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনকে পুনরায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেবেন।’
উক্ত জনসভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহাদাৎ হোসেন, সদরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফি কাজী, অব. অতিরিক্ত সচিব মো. মজিবর রহমান, ভাঙ্গা পৌর মেয়র আবু ফয়েজ মো. রেজা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এচাহাক মোল্লা, সমাজ সেবক আব্দুল বারী টিপু ভুইঁয়া, ঘারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মুনসুর আহমেদ, জেলা পরিষদের সদস্য আসিফ ইকবাল স্বপন, মো. শফিউদ্দিন মোল্লা, মো. নিরু খলিফা, মো. আবু জাফর মুন্সি, সুবাহান মুন্সি, মো. মতিয়ার রহমান, মোতাবেক হোসেন (সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান) প্রমুখ।