দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে প্রথমবার রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের সাহায্যে ধান রোপন কর্মসুচি উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের গোকুল এলাকায় এই কর্মসুচি উদ্বোধন করা হয়।
গোকুল গ্রামের সাইফুল ইসলামের জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্ট মেশিনের মাধ্যমে সমলয় চাষাবাদে বোরো ধান রোপণ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মনজু রায় চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ওয়াসিকুল ইসলাম।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার,কৃষি সম্প্রসারণ কমকতা শাহানুর রহমান,ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুশ সাকির বাবলু প্রমুখ।
এ সময় গ্রামের শতশত কৃষক রোপণ পদ্ধতি দেখতে ভিড় জামান।
জানাগেছে,এই রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের সাহায্যে প্রতি বিঘা জমিতে ধান রোপণ করতে ১ লিটার ডিজেল খরচ হয়। এ পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকের খরচ কমবে এবং সেইসঙ্গে ফলনও বাড়বে। যা দেশে খাদ্য চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উপজেলা কৃষি অদিধপ্তর সূত্র জানায়, উপজেলায় এই প্রথম ধানের চারা রোপণে রাইস ট্রান্সপ্লান্ট যন্ত্রের মাধ্যমে চারা রোপণ শুরু করা হলো। ৪৪জন কৃষক এই পদ্ধতিতে ৫০ একর জমিতে বোরো চাষ করছেন। প্রথম পর্যায়ে কৃষকদের কোনো খরচ লাগছেনা, ধানবীজসহ সব খরচ কৃষি বিভাগ বহন করছে।
কৃষক মদন চন্দ্র রায় জানান আমি এবার দুই বিঘা জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করবো। এই জমি রোপণে আমার অন্তত ৫ হাজার টাকা খরচ হতো।কিন্তু এই পদ্ধিতে ৬টাকা খরচ হবে। এছাড়া কৃষি শ্রমিক পেতেও খুব কষ্ট হতো। এ মৌসুমে কৃষি প্রনোদনার বিনামূল্যে ধান রোপণ করছি। এ পদ্ধতিতে বিঘা প্রতি মাত্র ৩শ টাকা খরচ হবে। কৃষি শ্রমিক খোঁজার হয়রানিও কমে যাবে।
বলেন, কৃষক সাইফুল ইসলাম আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদ নিয়ে আমাদের কোন ধারণা ছিলনা। কিন্তু এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং তাতে আমাদের ধারণা পাল্টে গেছে। তিনি জানান, আগে ধান রোপণে অনেক পরিশ্রম করতে হতো। আজ ২০ মিনিটেই আমার ৩০ শতাংশ জমির ধান রোপণ করা হলো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার বলেন, সমলয় চাষাবাদে আমরা এ এলাকার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। এখন তারা এ পদ্ধতিতে ধান চাষে আগ্রহী। চলতি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনার আওতায় থাকা ৪৪ জন কৃষক এ সুবিধা পাচ্ছেন।