অনলাইন বিজ্ঞাপনের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য থাকার অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ (ডিওজে) এবং ৮টি অঙ্গরাজ্য গুগলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। অন্যদিকে গুগল তাদের দাবিকে ত্রুটিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বিজয়ী ও পরাজিতদের বাছাই করার অপচেষ্টা চলছে। মার্কেট রিসার্চ ফার্ম ইনসাইডার ইন্টেলিজেন্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে গুগলের বিজ্ঞাপন থেকে আয় ছিল মোট আয়ের ৩৬.৭ শতাংশ যা ২০২২ সালে ২৮.৮ শতাংশে নেমে এসেছে ।
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড অভিযোগ করেছেন গুগলের প্রতিযোগিতাবিরোধী আচরণ মূলত তিনটি ক্ষেত্রে বিস্তৃত –
> এটি এড স্পেস বিক্রির জন্য প্রায় সব প্রধান ওয়েবসাইট প্রকাশকদের ব্যবহৃত প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ করে।
> এটি এড স্পেস কিনতে বিজ্ঞাপনদাতাদের ব্যবহৃত টুলও নিয়ন্ত্রণ করে।
> এটি প্রকাশক এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে বড়ধরনের বিজ্ঞাপন এক্সচেঞ্জ নিয়ন্ত্রণ করে।
গারল্যান্ড বলেন, গুগলের এই পরিকল্পনার ফলে ওয়েবসাইট নির্মাতারা কম আয় করেন এবং বিজ্ঞাপনদাতারা বেশি অর্থ প্রদান করেন।
তবে বিবিসিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে গুগল বলেছে, এটি মূলত টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেলের একটি ভিত্তিহীন মামলা। যার বেশিরভাগই সম্প্রতি একটি ফেডারেল আদালত খারিজ করে দিয়েছে। ডিওজে একটি ত্রুটিপূর্ণ যুক্তিকে বাড়িয়ে বলছে। যা উদ্ভাবনকে ধীর করবে। বিজ্ঞাপনের ফি বাড়িয়ে তুলবে এবং হাজার হাজার ছোট ব্যবসা এবং প্রকাশকদের উন্নতির পথ কঠিন করে তুলবে।
এক ব্লগ পোস্টে গ্লোবাল অ্যাডসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্যান টেইলর বলেন, ডিওজে'র এই পদক্ষেপ বছরের পর বছর ধরে চলা উদ্ভাবনের গতি কমাবে এবং বিস্তৃত বিজ্ঞাপন খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
প্রায় ১৫০ পৃষ্ঠার অভিযোগে গুগলের বিরুদ্ধে মার্কিন অ্যান্টিট্রাস্ট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে এবং এর লক্ষ্য গুগলের প্রতিযোগিতাবিরোধী পরিকল্পনা বন্ধ করা, বাজারকে গুগলের একচেটিয়া দখল মুক্ত করা এবং ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে প্রতিযোগিতা ফিরিয়ে আনা।
আদালত মার্কিন সরকারের পক্ষ নিলে এটি গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবসা ভেঙে দিতে পারে। আদালতে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট গুগলকে তার বিজ্ঞাপন ব্যবসায়ের কিছু অংশ বিক্রি করতে বাধ্য করার অনুরোধ করেছে।