নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক এবং সুন্দর একটি নির্বাচন হোক। বিএনপি আসলে আমরা খুশি হব। আমরা নতুন কমিশন আসার পর থেকেই তাদের নির্বাচনে আসার জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছি।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণে কমিশনের পক্ষ থেকে প্রকল্প দেওয়া হলেও অর্থ-সংস্থান না হওয়ায় যে কটি ইভিএম আছে সেগুলোতে ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
তিনি বলেন, নির্বাচনে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সর্তকতার সঙ্গে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভোটে পক্ষপাতিত্ব করার কোনো সুযোগ নেই। জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে ইসি তাদের নিজ দায়িত্ব পালন করবে। আচরণবিধি পালনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ গড়ে উঠবে। তবে যদি নির্বাচনী পরিবেশ গড়ে না উঠে। যদি মনে হয় ভোটে বিঘ্ন হচ্ছে, তাহলে যে পর্যায়ে বিঘ্ন ঘটবে, সেই পর্যায়েই ভোট বন্ধ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির এমপিদের পদত্যাগে শূন্য হওয়া ৬টি আসনের উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরা থাকছে না, তবে নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম বিশৃঙ্খলা হলে যে পর্যায়ে বিঘ্ন ঘটবে সেই পর্যায়ে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমরা একটা ভালো পরিবেশে ভোট করতে চাই- এটাই নির্বাচন কমিশনের শেষ কথা।
এদিকে নির্বাচনে কোনো অনিয়ম এবং আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে জেলা পুলিশের সঙ্গে গোয়েন্দা পুলিশ এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবে বলেও নিশ্চিত করেন রাশেদা সুলতানা।
মতবিনিময় সভায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও সদর-৩ আসনের রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার, বিজিবির প্রতিনিধি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।