বিনোদন ডেস্ক | আপডেট: শনিবার, আগস্ট ৭, ২০২১
একটি আন্তর্জাতিক অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানের নেটওয়ার্ক ধরতে যেয়েই পরীমনি, পিয়াসা, মৌ এবং মিশু হাসান আটক হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। একাধিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, একটি অবৈধ অস্ত্র চোরাচালানের চক্রের সূত্র উদ্ধার করতে করতেই তারা পিয়াসা, মৌ এর সন্ধান পায় এবং মিশু হাসান ও জিসানকে আটক করে। জিসানকে আটকের পর থেকেই পরীমনির অন্ধকার জগত তাদের কাছে উন্মোচিত হয়।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, বাংলাদেশে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আসার একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছিল এবং অবৈধ অস্ত্র এবং মাদকের এক রমরমা ব্যবসা শুরু হয়েছিল। এই ব্যবসা শুরু করেছিলেন মিশু হাসান ও জিসান। তারা অবৈধভাবে উজি (uzi) অস্ত্র বাংলাদেশে নিয়ে আসতেন এবং বিভিন্ন লোকজনের কাছে বিক্রি করতেন. এই অস্ত্র নেটওয়ার্ক যেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আড়ালে যায় সেজন্য তারা শোবিজের তারকাদেরকে সামনে নিয়েছিলেন। আবার যারা পিয়াসা মৌদের সঙ্গে সখ্যতা করত তারাই অবৈধ অস্ত্রের প্রতি আকৃষ্ট হতো। এরকম একটি সহজ সমীকরণ থেকে মিশু হাসান এবং জিসান পিয়াসা এবং মৌকে ব্যবহার করেন। তাছাড়া মিশু হাসান দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলো। এই মাদক ব্যবসার নেটওয়ার্ক এবং মাদকের বাজার বড় করার জন্যই পিয়াসা এবং মৌকে ব্যবহার করেছিলেন মিশু হাসান। এরকম প্রাথমিক তথ্য পাওয়ার পরই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রথমে পিয়াসা এবং মৌ এর ওপর নজরদারি শুরু করে। খুব শীঘ্রই তারা নিশ্চিত হয়েছে পিয়াসা এবং মৌ অবৈধ মাদক ব্যবসা করছেন। অন্যদিকে পিয়াসা তার ফেসবুকে উজি (uzi) অস্ত্রসহ পোজ দিয়ে ছবি দেওয়ার পর আরও পরিষ্কার হয়ে যায় এই অস্ত্র ব্যবসার নেটওয়ার্কের সঙ্গেও পিয়াসা জড়িয়ে পড়েছেন। এই সূত্র ধরেই পিয়াসা এবং মৌ এর বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং সেখানে ব্যাপক মাদক উদ্ধার করা হয়। পিয়াসা এবং মৌকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই মিশু হাসান এবং জিসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিসানকে গ্রেপ্তারের পরপরই জিসান এই চক্রের সঙ্গে পরীমনির যোগসুত্রতার কথা প্রকাশ করেন এবং তখনই পরীমনির জীবনের অকথিত অধ্যায় উন্মোচিত হয়।
বিভিন্ন
সূত্রগুলো বলছে যে, শোবিজের তারকা হওয়ার কারণে পরীমনিরা যখন বিদেশ থেকে আসেন তখন প্রচুর
পরিমাণে মাদক নিয়ে আসতেন এবং এই মাদকের খদ্দেরদের সঙ্গে একটা সখ্যতা তৈরি করতে সক্ষম
হয়েছিলেন। বিভিন্ন সূত্র বলছে, বাংলাদেশ অস্ত্র এবং মাদকের একটি যৌথ ব্যবসা তৈরি করেছিলেন
পিয়াসা, মিশু, জিসান, মৌ ও পরীমনি চক্র। আর এই অস্ত্র এবং মাদক ব্যবসার জন্যই তারা
আরও অনেক শোবিজের পরিচিত অপরিচিত ব্যক্তিদেরকে ব্যবহার করেছিলেন। বিভিন্ন সূত্র থেকে
প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে যে, পরীমনি এই আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান নেটওয়ার্কের সঙ্গে
যুক্ত হয়েছিলেন অনেক পরে। দীর্ঘদিন থেকে এই ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন পিয়াসা, মিশু
এবং জিসান। পরে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন মৌ। আর সর্বশেষ পরীমনিও চোরাচালান নেটওয়ার্কের
সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, এদের ব্যবসা ছিল দুই রকমের। একটা
হল তারা বাইরে থেকে আইস, এলএসডির মত বিপদজনক এবং অবৈধ মাদক গুলো দেশে নিয়ে আসতেন এবং
ধনাঢ্যদের কাছে তা বিক্রি করতেন। আর দ্বিতীয়ত, তারা ব্ল্যাকমেলিং করতেন। আইন প্রয়োগকারী
সংস্থার সদস্যরা বলছেন, এখন মামলার অভিযোগ নিয়ে তদন্ত হচ্ছে এবং খুব শীঘ্রই আরো অনেক
চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে বলেও তারা মনে করছেন।