কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিদেশ থেকে ভোজ্যতেল আমদানি কমাতে সরকার তৈলবীজের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। দেশে তৈলবীজ চাষে কৃষকদের মধ্যে বীজ ও সারসহ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।
সোমবার মানিকগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত ‘সরিষা ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি ও উন্নয়ন ২০২২-২৩ কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতি বছর দুই থেকে আড়াই বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ ভোজ্যতেল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ দেশে উৎপাদিত হয়। চাহিদা মেটাতে আমরা সরিষা, মসুর, চীনাবাদাম, সয়াবিন ও সূর্যমুখীর মতো তেলবীজের উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, উদ্যোগটি সফল করতে জমিতে স্বল্প সময়ের ধান চাষ করা হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা আগামী তিন বছরের মধ্যে আমাদের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা ৫০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, দেশে প্রতি বছর তৈলবীজের চাষ ও উৎপাদন উভয়ই বাড়ছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা দেশকে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার চেষ্টা করছি উল্লেখ করে ভবিষ্যতেও এ প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে। দেশের বর্তমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী।
মানিকগঞ্জ খামারবাড়ি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায় কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন, জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ, সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান প্রমুখ।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী তার সহযোগীদের নিয়ে জেলার সিংগাইর উপজেলার কয়েকটি সরিষা ক্ষেত পরিদর্শন করেন এবং কর্মকর্তা ও চাষিদের সঙ্গে কথা বলেন।