কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ভোজ্যতেলের চাহিদার শতকরা ৯০ ভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এতে বছরে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। এ অবস্থায়, দেশে ৫০ ভাগ তেল উৎপাদনের মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা কমাতে তিন বছর মেয়াদি রোডম্যাপ আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। প্রথম বছরেই এবার সারা দেশে দ্বিগুণ পরিমাণ সরিষা চাষ হয়েছে। সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে এবং আগামী তিন বছরের মধ্যেই আমরা বছরে ভোজ্যতেল আমদানিতে কমপক্ষে ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারব।
রবিবার (১৫ জানুয়ারী২৩)ইং সকালে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দিতে উন্নত জাতের বারি সরিষা ১৮ জাতের মাঠ পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শুধু সরিষার আবাদ বৃদ্ধিই নয়, এর সাথে সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে মৌচাষ ও মধুর উৎপাদন। অন্যদিকে, আমন ও বোরোর মধ্যবর্তী সময়ে পতিত জমিতে সরিষার আবাদ হওয়ায় ধানের উৎপাদন কমছে না, একইসঙ্গে কৃষকেরা অতিরিক্ত ফসল হিসেবে এই সরিষা পেয়ে লাভবান হচ্ছেন। সরিষা চাষীরা যাতে সরিষার ভালো দাম পান, এ বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
এসময় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আমিনা খাতুন, টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আহসানুল বাশার, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মাহমুদুল হাসান, ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাকিয়া ও সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কৃষিকর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন,উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ, জাহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক আনছার আলী, হাফিজুর রহমান, কৃষক মিজানুর রহমান ও ছোহরাব আলীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।