ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বুধবার, জুলাই ৩, ২০২৪ |

EN

পুরান ঢাকায় চলছে বর্ণিল সাকরাইন উৎসব

রাজধানী ডেস্ক | আপডেট: শনিবার, জানুয়ারী ১৪, ২০২৩

পুরান ঢাকায় চলছে বর্ণিল সাকরাইন উৎসব
রাজধানী ঢাকার সমৃদ্ধ ইতিহাস প্রায় চারশ বছরের যার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে পৌষ সংক্রান্তি। বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন এ উৎসব উদযাপিত হয়। এক সময় ঘুড়ি, নাটাইয়ের মাঝে পৌষ সংক্রান্তি বা সাকরাইন সীমাবদ্ধ থাকলেও তার পরিসর এখন বিশাল জাঁকজমকপূর্ণ। 

সাকরাইনকে ঘিরে পুরান ঢাকার অলিগলিতে  সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। শিশু, তরুণ, বৃদ্ধরা  ফানুস, ঘুড়ি, নাটাই, সুতা কেনা নিয়ে ব্যস্ত। পুরান ঢাকার খোলা আকাশে যেন বসেছে নানা রঙের ঘুড়ির মেলা। সন্ধ্যা হলেই দেখা যায় আগুনের প্রজ্জ্বলিত শিখা নিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে হাজারো ফানুস। 

সাকরাইন উপলক্ষে সূত্রাপুর, নবাবপুর, শ্যামবাজার, ধূপখোলা, শাঁখারি বাজার, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, ফরাশগঞ্জ, সদরঘাট, গেন্ডারিয়া, নারিন্দা, লালবাগ, চকবাজার, মুরগিটোলা, ধোলাইখালসহ বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে সাকরাইনের আমেজ। বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে হরেক রকম আলোকসজ্জা দিয়ে ছাদ সাজানোর কাজ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মেজবাউল হাসানের কাছে সাকরাইন এবার প্রথম। তার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, যখন জবিতে চান্স পেয়েছিলাম তখন পুরাণ ঢাকার ঘিঞ্জি পরিবেশের কথা শুনে মন খারাপ হয়ে গেছিলো৷ কিন্তু কখনো কল্পনাও করিনি পুরান ঢাকার এই সাকরাইন উৎসব এত সুন্দর হবে। চারিদিকে অসংখ্য আলোর ঝলকানি আর আকাশ জুড়ে ঘুড়ির মেলায় এই সৌন্দর্যকে এক আলাদা রূপ দিয়েছে। তবে ছাদের উপরে থাকা সাউন্ড বক্সের জোরালো আওয়াজ বিরক্তির কারনও বটে।

ঘুড়ি কিনতে গিয়ে ইয়ামিন হোসেন নামের এক স্থানীয় ক্রেতা বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও আমরা ছাদে ঘুড়ি উড়িয়ে সাকরাইন পালন করবো। কিন্তু যেহেতু আতশবাজি ও ফানুস অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি করে তাই এবারে এগুলো পরিহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর অন্যবারের চেয়ে এইবার ঘুড়ি সুতা ও নাটাইয়ের দাম অনেক বেশি৷

এদিকে সাকরাইন উৎসবে ফানুস বিক্রি, ওড়ানো বন্ধে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার। সাকরাইন উৎসবে রাজধানীবাসী যাতে ফানুস ওড়াতে না পারেন এবং দোকানিরা ফানুস বিক্রি করতে না পারেন, সে বিষয়ে থানায় থানায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।