ব্যাপক ধর্মীয় উদ্দীপনা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে শুক্রবার বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হকের আমবয়ানের (সার্বিক) মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে আলমি শূরার (মাওলানা জোবায়ের পন্থী) ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা।
ইজতেমার প্রথম দিন শুক্রবার দুপুর পৌনে ২টায় অনুষ্ঠিত হয় জুমার জামাত। জুমার জামাতে ইমামতি করেন কাকরাইল জামে মসজিদের খতিব ও বাংলাদেশের তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বি হাফেজ মাওলানা জোবায়ের আহমেদ।
ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী লাখ লাখ মুসল্লি ছাড়াও রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার হাজার হাজার মানুষ এই বৃহত্তম জুমার জামাতে শরিক হয়েছেন। জুমার জামাত শেষে তারা মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে প্রার্থনা করেন।
বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশের প্রায় ৪ হাজার ৩৬১ জন প্রতিনিধিসহ কয়েক লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমা। অনুকূল আবহাওয়া ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকায় ইজতেমায় আগত মুসল্লিগণ স্বাচ্ছন্দ্যে তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বিদের বয়ান শুনছেন এবং ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল রয়েছেন।
আগামী রোববার দুপুরের আগে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘটবে। আখেরি মোনাজাত কাকরাইল জামে মসজিদের খতীব হাফেজ মাওলানা জোবায়ের আহমদ পরিচালনা করার কথা রয়েছে।
এদিকে সকাল থেকেই সর্বস্তরের মুসলমানরা জুমার জামাতে শামিল হওয়ার জন্য টুপি, পাঞ্জাবী পরে জায়নামাজ হাতে ইজতেমা মাঠের দিকে ছুটতে দেখা গেছে। দেশ বিদেশের অগণিত মুসল্লির সঙ্গে একই জামাতে শরীক হয়ে নামাজ আদায় করার মাধ্যমে সাওয়াব হাসিলের উদ্দেশে সবার মধ্যে দেখা গেছে ব্যাকুলতা। যতই সময় গড়াতে থাকে ততই মুসল্লিদের ঢল আঁচড়ে পড়ে তুরাগ তীরে। শিশু কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের সমাবেশ ঘটে জুমার জামাতে।
টঙ্গী, উত্তরা, কামারপাড়া, মিরপুর, আবদুল্লাহপুরসহ আশপাশের এলাকার মসজিদে শুক্রবারের জুমার জামাতে মুসল্লি সংখ্যা ছিল খুবই কম। ইজতেমা মাঠে জুমার জামাত সুবিশাল প্যান্ডেলের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিস্তৃতি লাভ করে চারপাশের অলি-গলি ও রাস্তায়।
টঙ্গীর চেরাগ আলী থেকে জুমার নামাজ পড়তে আসা ফরহাদ হোসেন বাবু মুন্সী বলেন, বড় জামাতে নামাজ পড়লে অনেক সাওয়াব পাওয়া যায় তাই ৮০ জনের একটি দল আমরা একসঙ্গে ময়দানে নামাজ পড়তে এসেছি। গত দুই বছর ইজতেমা না হওয়ায় এবার বিপুল সংখ্যক মুসল্লির সমাগম হয়েছে।