তেঁতুলিয়ায় এবারও টিউলিপ ফুলের চাষ শুরু হয়েছে। এ ফুল পর্যটকদের আকর্ষন করে তেঁতুলিয়া ভ্রমনে।
বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠান ইকো-সোসাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)র তত্ত্বাবধানে টিউলিপ চাষে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সৌখিন ও পর্যটকদের মাঝে। ইএসডিও'র প্রধান নির্বাহী ড. শহীদুজ্জামান ও পরিচালক প্রশাসন সেলিনা জামান ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে চাষীদের সাথে সরাসরি কথা বলে টিউলিপ কন্দোল বীজ রোপনের উদ্বোধন করেন।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের দর্জিপাড়া গ্রামে দ্বিতীয় বারের মত চাষ হতে যাচ্ছে আলোচিত ফুল টিউলিপ। মূলত শীতপ্রধান অঞ্চল হওয়ায় এ অঞ্চলে টিউলিপের চাষ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত বছর স্বল্প পরিসরে এই গ্রামের ৮ জন মহিলা কৃষাণীকে প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা দিয়ে টিউলিপ চাষে উৎসাহ দিয়ে ছিলেন ইকো সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)। প্রকল্পটিতে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে পল্লী কর্ম–সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।
টিউলিপ বর্ষজীবি ও বসন্তকালীন ফুল হিসেবে পরিচিত। এটি মুকুল থেকে জন্মায়। বিভিন্ন প্রজাতিতে এর উচ্চতা ভিন্নরূপ হয়। সচরাচর ৪ ইঞ্চি (১০ সে.মি.) থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৮ ইঞ্চি (৭১ সে.মি.) পর্যন্ত উচ্চতাসম্পন্ন হয়। অধিকাংশ টিউলিপই ডাঁটা থেকে একটিমাত্র মুকুলের মাধ্যমে বিকশিত হয়।
গত বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এ বছর বড় পরিসের প্রায় ২০ জন কৃষক ও কৃষাণির উদ্যোগে ২ একর জমিতে টিউলিপ চাষ শুরু করলো উদ্যোক্তারা।
টিউলিপ চাষী নারী উদ্যোক্তা মানোয়ারা বেগম বলেন, আমরা গত বছর অল্প জায়গায় টিউলিপ চাষ করে লাভবান হয়েছি। তাই এ বছর আরও ১২ জন কৃষক আমাদের সাথে কাজ করছে। আমরা আশা করি এ বছর আমরা আবারও লাভবান হবো।
আয়েশা বেগম বলেন, আমরা আগে চা বাগানে কাজ করতাম। গত বছর দেখেছি টিউলিপ ফুল দেখতে হাজার হাজার পর্যটক ভিড় করেছে আমাদের তেঁতুলিয়ায়। গত বছর টিউলিপ চাষীরা লাভবান হয়েছিল এই সম্ভাবনায় আমিও চাষ শুরু করেছি। আশা করি লাভবান হবো।
জয়নাল আবেদিন বলেন, আমরা এবার পর্যটকদের জন্য, টবের ব্যাবস্থা রেখেছি। টিউলিপ প্রেমীরা টবে করে টিউলিপ চারা কিনতে পারবে। এছাড়াও আগত দর্শনার্থীদের খাবারের জন্য অস্থায়ী খাবার হোটেলের ব্যাবস্থাও থাকছে।
ইএসডিও'র কো-অর্ডিনেটর আইনুল হক বলেন, গত বছরের ব্যাপক সাফল্যের ফলে এ বছর আরও বৃহৎ পরিসরে চাষ হচ্ছে টিউলিপ। পর্যটনের পাশাপাশি মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে টিউলিপ বিরাট ভুমিকা রাখবে।