সিনেমায় অভিনয় দিয়েই পরিচিতি পেয়েছেন মাহিয়া মাহী। নামের আগে যুক্ত হয়েছে চিত্রনায়িকা। কাজও করছিলেন নিয়মিত। সংসারও করছিলেন বেশ হেসে খেলে। কিন্তু প্রথম স্বামী অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তার জীবনধারা বদলে যেতে থাকে। দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন গাজীপুরের রাকিব সরকারকে। দ্বিতীয় স্বামী সরকারদলীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই মাহিও সিদ্ধান্ত নেন রাজনীতি করার।
স্বামীর সঙ্গে তারই এলাকায় মানুষের সঙ্গে মেশার চেষ্টা করেন। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে স্বামীর জন্য বড় পদ পেতে গণসংযোগেও অংশ নেন। এর মধ্যে আবার সুখবরও আসে। মাহীর সুপ্ত ইচ্ছা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া। তাও আওয়ামী লীগের হয়ে। সম্প্রতি বিএনপির সাত সংসদ সদস্য সংসদ থেকে পদত্যাগ করার পর মাহির জন্য সুপ্ত ইচ্ছা পূরণ করার পথ আরও খুলে যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়নও কেনেন। মনোনয়ন নেওয়ার সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের একটি ‘ইতিবাচক’ মন্তব্য মাহীর জন্য আশীর্বাদ হয়ে ধরা দেয়।
ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘মাহীর মনোনয়নপত্র কেনার বিষয়ে নেত্রীর (দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা) সঙ্গে কথা হয়েছে।’ তাই অনেকের ধারণা ছিল, মাহী বোধহয় মনোনয়ন পেয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা আর হয়নি। মনোনয়ন পেলেন না মাহী। এই ‘না পাওয়া’তে মাহীর রাজনীতির অনেক কিছুই বদলে যায়।
তিনি বলেছিলেন, রাজনীতি চালিয়ে যাবেন। অভিনয়ে ফিরবেন চলতি বছরের শেষ দিকে। কিন্তু রাজনীতির মাঠ থেকে মাহীকে প্যাভিলিয়নেই ফিরতে হচ্ছে। অভিনয় শুরু করেছেন তিনি। এবং সেটা গতকাল থেকেই। বদিউল আলম খোকনের ‘অফিসার ইনচার্জ’ নামে একটি সিনেমার শুটিংয়ের মাধ্যমে নতুন বছরের প্রথম মাসেই মাহী অভিনয়ের খাতা খুলছেন। সিনেমাটির টানা শুটিং হবে বলে জানা গেছে।