ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

মিরসরাই ইকোনমিক জোন: পাঁচ বছর ঘর হারা শতাধিক পরিবার

উপজেলা প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, জানুয়ারী ৮, ২০২৩

মিরসরাই ইকোনমিক জোন: পাঁচ বছর ঘর হারা শতাধিক পরিবার
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ইকোনোমিক জোন এলাকায় দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কর্তৃক প্রতিশ্রুতির ঘর পায়নি শতাধিক পরিবার। এতে খুবই দুর্ভোগে দিন পার করছেন স্থানীয় প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ। 

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ২০১৭ সালে মিরসরাই উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের চরশরৎ ৯নং ওয়ার্ড এলাকা অংশে বর্তমান সিপির মোড় থেকে তিনশ ফিট স্থান পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের কাজ করার সময় সড়কের পশ্চিম পাশে প্রায় ১০০'র অধিক পরিবারের বসতি ছিলো। সেসময় সড়কের কাজ করার জন্য বেজা তাদের বসতঘর উচ্ছেদ করে। তবে বেজা তাদের প্রতিশ্রুতি দেয় ভিন্নস্থানে ঘর উপহার দিবে অথবা সে পরিমাণ টাকা প্রদান করতে। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতির দীর্ঘ ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ঘর কিংবা টাকা কিছুই পায়নি ভুক্তভোগীরা। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, বেজা পুরো ভারী বর্ষাতে ঘরগুলো উচ্ছেদ করে। কারো কারো যাওয়ার কোন জায়গা ছিলো না। কেউ পরিচিত বা আত্মীয়দের কাছে আশ্রয় নেয়। অনেক পরিবার এখনও পর্যন্ত অন্যের কাছে আশ্রিত। কোথাও নতুন করে ঘর করার সমর্থ্য নেই শত শত পরিবারের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জানান, বেজা আমাদের ইংরেজদের মতো জিম্মি করে রেখেছে। তারা কোন প্রতিশ্রুতি এখন পর্যন্ত রাখেনি। বেজা কর্তৃক আমরা সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ছালেক জানান, বেজা ঘর দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। সেসময় পবন চৌধুরী নামের তালিকা নিয়ে গিয়েছিলো। তবে সমস্যা হচ্ছে তারা যেস্থানে ভূমিহীনদের ঘর দিতে চাচ্ছে সেখানে এখানকার মানুষ যেতে চাচ্ছে না। স্থানীয়দের কথা হচ্ছে আমাদের এলাকায় সরকারি খাস জায়গা কিংবা জমি ক্রয় করে হলেও এই এলাকায় জায়গা করে দিতে। 

স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা বলেন, বিষয়টা ইউএনও এবং প্রধানমন্ত্রী দেখতেছেন। তাদের বরাদ্দের বিষয়ে আমি চেষ্টা করতেছি। বিভিন্ন সময় তাদেরকে সহযোগিতা করে আসছি। 

উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, এবিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। যেহেতু জেনেছি বিষয়টি নিয়ে ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান এর সাথে কথা বলে পুরো বিষয় জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবো। 

বেজা ডেপুটি ম্যানেজার সেজুতি বড়ুয়া বলেন, পুনর্বাসনদের জায়গা দেয়া নিয়ে সংসদ সদস্যদের সাথে আমাদের বিভিন্ন কথাবার্তা হচ্ছে। আসলে জায়গা দিতে হলে তো আগে জায়গা সনাক্ত করতে হবে। তাই একটু সময় লাগতেছে। আপনাদের সেখানকার জায়গার বিষয়ে আমি পুরোপুরি অবগত নাহ্।