তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বঙ্গবন্ধুর বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ দরকার উল্লেখ করে বলেন শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার মাধমে সোনার মানুষ গড়ে তোলা সম্ভব। গ্রাম-শহর, ধনী-দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে প্রযুক্তি ও টেন মিনিট স্কুলের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হবে। এর মাধ্যমে সকলেই আধুনিক শিক্ষার সুযোগ পাবে বলে তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে দেশের শীর্ষ ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম “টেন মিনিট স্কুল” এর উদ্যোগে ৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা অনলাইন সমাধানের একাডেমিক প্রোডাক্ট ‘অনলাইন ব্যাচ ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন এসবিকে টেক ভেঞ্চারস্ এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, টেন মিনিট স্কুলের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ফাউন্ডার আয়মান সাদিক, চিফ অপারেটিং অফিসার ও কো-ফাউন্ডার মির্জা সালমান হোসাইন বেগ।
প্রতিমন্ত্রী বৈষম্যমুক্ত শিক্ষা বিস্তারে টেন মিনিট স্কুল গত ৮ বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে উল্লেখ করে বলেন আধুনিক বিশ্বে নিজেদের এগিয়ে নিতে গনিত, বিজ্ঞানের পাশাপাশি প্রোগ্রামিং ও কোডিং শিক্ষা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। তিনি ২০২৫ সালের মধ্যে ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং ও কোডিং বিষয়ে প্রশিক্ষন দিয়ে ১০ লক্ষ প্রোগ্রামার তৈরি করতে টেন মিনিট স্কুলের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
পলক বলেন স্মার্ট নাগরিক ছাড়া ভবিষ্যত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের পালন করতে হবে। সেই লক্ষ্যে আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে চলনবিলে একটি শিক্ষা উৎসব হবে যেখানে গণিত, ইংলিশ ও প্রোগ্রামিং ক্যাম্প করা হবে। এই একই মডেল আমরা সারাদেশে রেপ্লিকেট করতে চাই বলেও তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে ১৩ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব রয়েছে। টেন মিনিট স্কুলের মাধ্যমে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হলে তারা ডিজিটাল মাধ্যমে শিক্ষাদানে আরও দক্ষ হয়ে উঠবে। এটা "ডমিনো ইফেক্ট" এর মতো কাজ করবে। শিক্ষকদের দক্ষ করে তুললে শিক্ষার্থীরাও দক্ষ হিসেবে গড়ে উঠবে। তিনি এ বিষয়ে শিক্ষকদের জন্য একটা কোর্স ডিজাইন করার পরামর্শ দেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী ‘অনলাইন ব্যাচ ২০২৩’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, অনলাইন ব্যাচে ৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়ানো হবে মোট ৬টি করে বিষয়। ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণিতে সপ্তাহে ৬দিন করে মাসে ২২টি ক্লাস দিয়ে সাজানো হয়েছে সম্পূর্ণ সিলেবাসের রুটিন। ৯ম-১০ শ্রেণির জন্য সপ্তাহে ৫দিন করে মাসে মোট ৪০টি ক্লাস থাকবে। রুটিনমাফিক প্ল্যানে সম্পূর্ণ সিলেবাস শেষ করা হবে ৮ মাসে। সিলেবাস শেষ হবার পরে শিক্ষার্থীরা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিতে পারবে রিভিশন ও প্রশ্ন সমাধান ক্লাসের মাধ্যমে।
অনলাইন ব্যাচের প্রতিটি লাইভ ক্লাসে থাকবেন দুই জন শিক্ষক, একজন সরাসরি ক্লাস নিবেন, দ্বিতীয়জন শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিবেন। ক্লাস শেষ হয়ে যাওয়ার ৩০ মিনিট পরেও অ্যাপে মেসেজ করার মাধ্যমে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার সুযোগ থাকবে। প্রতিটি লাইভ ক্লাস শেষেই শিক্ষার্থীরা পেয়ে যাবে সেই ক্লাসের লেকচার শিট এবং লাইভ ক্লাসের রেকর্ডেড ভিডিও। এছাড়াও প্রতি মাসে অভিভাবকদের সাথে থাকবে মতবিনিময় সভা। এছাড়া বছরব্যাপী ৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণির পড়াশোনার ১০০ তে ১০০ সেরা সমাধান পেতে ভিডিট করুন www.10ms.com.।