জেঁকে বসেছে শীত। এতে মানবেতর দিন কাটছে হতদরিদ্রদের। শীতের তিব্রতায় ভোগান্তিতে থাকা এমনই একটি এলাকা হচ্ছে কক্সবাজার শহরের সমুদ্র পাড়স্থ ঝাউবাগানের অস্থায়ী ঝুঁপড়ি বস্থির বাসিন্দা। যেখানে ৫০ টির অধিক পরিবার রয়েছে। তারা ঝাউবাগানের নীচে পলিথিন আর বেড়া দিয়ে ঝুঁপড়ি ঘর করে বসবাস করে। এতে এই মানুষগুলো হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে শীতের তীব্রতা কাকে বলে। তাদের মধ্যে বেশি কষ্টে আছে শিশু ও বৃদ্ধ। তাদের প্রত্যাশা একটি গরম কাপড়।
ওই পাড়ায় গিয়ে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, দিন এনে দিনে খাওয়া এই মানুষগুলো এমনিতে কষ্টে আছে। তার মধ্যে তীব্র শীত। এদিকে নেই গরম কাপড়। সবমিলে কষ্ট যেন দ্বিগুণ।
তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, যেখানে প্রতিবেলা খাবারের টাকা যোগাতে হিমসিম খেতে হয় সেখানে গরম কাপড় কেনা যেন দুঃসহ ব্যাপার। এই মুহুত্বে তাদের চাওয়া একটি কম্বল অথবা গরম কাপড়। হউক সেটা ব্যক্তিগত অথবা সরকারিভাবে।
ওই পাড়ার রাবেয়া খাতুন নামে এক বৃদ্ধা জানান, বেড়ার ঘর হওয়াতে বিকালের পর থেকে ঠান্ডা লাগতে শুরু করে। গমর কাপড় বলতে পুরাতন একটি গেঞ্জী আছে। তাও পাতলা হওয়াতে ঠান্ডা মানেনা। এছাড়া রাতে ঘুমানোর জন্য যে কাথাটি রয়েছে তাও পাতলা। এই শীতে তার খুবই কষ্ট হচ্ছে।
রফিকুল ইসলাম নামে একজন জানান, প্লাস্টিক কুড়িয়ে ভাঙ্গারীর দোকানে বিক্রি করে কোনভাবে জীবন চলে। তার ৫ সন্তানের মধ্যে ২ জনেরই ঠান্ডা লেগেছে। তার মধ্যে নেই গরম কাপড়। পরিবারের খাবারের টাকা যোগাতে গিয়ে তার হিমসিম খেতে হচ্ছে। তার মধ্যে গরম কাপড় কিনা তার জন্য অনেক কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লিয়াকত মিয়া নামে এক বৃদ্ধ জানান, তারা গরীব মানুষ। তাদের কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ায়না। অর্থ অভাবে এমননিতে অনেক কষ্টে আছে। তার মধ্যে শীত এই কষ্টকে বাড়িয়ে দিয়েছে আরো দ্বিগুন।
ওই এলাকার কাউন্সিলর (১১ নং ওয়ার্ড) নুর মোহাম্মদ মাজু জানান, যখনই গরম কাপড় বা কম্বল আসবে নিজ ওয়ার্ডের হতদরিদ্রদের দেওয়া হয়। তবে চাহিদা অনুযায়ী পরিমানে কম হওয়ায় অনেক সময় সবাইকে দেওয়া যায়না। তবে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এ প্রসঙ্গে সচেতম মহল বলছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বিত্তবানদের সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। নতুন হউক বা পুরাতন, গরম কাপড় দিয়ে সহযোগিতা করা যায়। তখন হয়ত দরিদ্র মানুগুলো আর শীতে কাঁপবেনা।