কক্সবাজার টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুড়া এলাকায় খালে মাছ শিকার করতে গিয়ে কলেজছাত্রসহ ৮ জন স্থানীয় বাঙালি অপহরণের শিকার হয়েছেন। অপহরণের ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
তবে তাদের উদ্ধারে উপজেলার সব পাহাড় ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও জনতা। উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে প্রায় শতাধিক পুলিশ ও ২০০ শতাধিক স্থানীয় জনসাধারণসহ কয়েকটি টিমে বিভক্ত হয়ে সন্ত্রাসীদের আস্তানা হ্নীলার মরিচ্যাঘোনা, পানখালী, হোয়াইক্যং, উনচিপ্রাং, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শালবাগান, লেদার নুরালীপাড়া, মিনাবাজার, বাহারছড়ার জাহাজপুড়াসহ সব পাহাড় ঘিরে ফেলে। পাশাপাশি ওই সন্ত্রাসীদের আস্তানায় খাদ্য, পানিসহ বিভিন্ন দ্রব্যাদি সরবরাহকারীদের শনাক্তেও কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা এলাকার বিভিন্ন কৃষক ও জনসাধারণকে অপহরণ করে। পরে নির্মম নির্যাতন করে অপহরণকারীদের স্বজনদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকায় মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয়। সেই অপরাধীদের ধরতে ওসির নির্দেশে আমরা জনসাধারণসহ পুলিশকে সহযোগিতা করছি।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি আব্দুল হালিম যুগান্তরকে জানান, আমরা এখনো রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শালবাগান গহীন পাহাড়ে আছি, চারদিক থেকে অপরাধীদের ঘিরে রেখেছি, অপহরণকারীরা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে।
এদিকে ৪ চার দিন পার হয়ে গেলেও পারিবারের ছেলে সন্তান ও আপনজনেরা বাড়ি ফিরে না আসা বা কোনো হদিস না পাওয়ায় উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন অপহরণ কৃতদের স্বজনেরা। আকাশ বাতাস ভারি করে অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মহান স্রষ্টার কাছে দিন-রাত প্রার্থনা করছেন, কখন তারা ফিরে আসবেন।
অপহরণের এক দিন পরে বাড়িতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও এখন আর যোগাযোগও করছে না! ফলে আমাদের ভয় আরও বেড়েছে। তারা জীবিত আছে কিনা আল্লাহই ভালো জানেন।
উল্লেখ্য, রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে বাহারছড়া ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের একটি খালে মাছ শিকার করতে গেলে তাদের অপহরণ করে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা।