শীতের সকালে আমরা অনেকেই গরম পানি খেয়ে থাকি। রাতে ঘুমোনোর সময় টানা ৭-৮ ঘণ্টা পানি না খাওয়ার পর এই অভ্যাস যে কেবল তেষ্টা মেটাতে সাহায্য করে তা নয়। ওজন কমাতে, খাবার হজম করতে, এমনকি কিডনির কার্যকারিতা রক্ষা করতেও সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে খালি পেটে কুসুম গরম পানি খাওয়ারও কিন্তু সঠিক নিয়ম আছে। দুই কাপ পানি ফুটিয়ে, তা এক কাপ পরিমাণ করে, তার পর হালকা গরম থাকতে থাকতে তবেই খেতে হবে। যদি সম্ভব হয় সেই পানিতে মেশানো যেতে পারে শুকনা আদা। ওজন ঝরানোর লক্ষ্যে যারা পানি খান, তাদের জন্য এই নিয়ম বিশেষ ভাবে উপকারি।
অনেকে মনে করেন, সকালে গরম পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর হয়। কারণ, উষ্ণ গরম পানি বৃহদন্ত্রের পেশিগুলিকে শিথিল করে।
তবে, এই বিষয়ে পুষ্টিবিদ এবং আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মত আবার ভিন্ন। তারা মনে করেন, পানির তাপমাত্রার সঙ্গে শরীরের এই কার্যকারিতাগুলির আদৌ কোনো যোগ নেই। ঘুম থেকে উঠে পানি খাওয়া ভাল। তা সে যে কোনো তাপমাত্রারই হতে পারে।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুখ এবং খাদ্যনালি দিয়ে পানি যখন পেটের মধ্যে পৌঁছায়, ততক্ষণে পানির তাপমাত্রা শরীরের তাপমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছে যায়। গরম পানির প্রভাব খানিকটা হলেও শ্বাসযন্ত্রের উপর পড়ে। কিন্তু শারীরবৃত্তীয় কাজে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না। তাই গরম বা ঠান্ডা যেমনই হোক, সকালে উঠে পানি খান নিশ্চিন্তে।