নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, আগস্ট ৭, ২০২১
এসএম
আনোয়ার হোসেন। ঝিনাইদহ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাঞ্চননগর গ্রামের মৃত শেখ মোহাম্মদ আলীর
ছেলে। করোনার টিকার নিবন্ধন করতে গিয়ে জানতে পারেন, নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজে ২০১৮
সালের আগে থেকেই তিনি মৃত। পরিচয়পত্রে এত বড় ভুল থাকার কারণে শত বার চেষ্টা করেও তিনি
টিকার নিবন্ধন করতে পারেননি।
এসএম
আনোয়ার হোসেন জানান, ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনের আগে পৌরসভা থেকে স্মার্টকার্ড গ্রহণ
করেন তিনি। সেসময়ে ঝিনাইদহের ওয়াজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক শরিফুল ইসলাম
তার এলাকার ডাটাবেজ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের খাতায় তার নামে কোনো ডাটাবেজ
নেই। নির্বাচন কমিশনের খাতায় ২০১৮ সালের আগে থেকেই তিনি মৃত। নির্বাচন অফিসের দৃষ্টিতে
এই ঘটনা খুব ছোট হলেও সামাজিকভাবে তাকে হেয় হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। জাতীয় পরিচয়পত্রে
এত বড় ভুলের কারণে করোনার টিকাও নিতে পারছেন না।
তার
পরিবারের সদস্যরা ঢাকা পোস্টকে জানান,
নির্বাচন অফিসের খেয়াল খুশিমতো তথ্য দেওয়ার ফল
ভোগ করছে আনোয়ার। এখন
অন্যের করা ভুল সংশোধনের
জন্য জেলা নির্বাচন কমিশন
কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ
পৌর মেয়র ও জেলা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু ঢাকা
পোস্টকে জানান, পৌরসভা থেকে ওই ওয়ার্ডের
কেউ এই নামে মৃত্যুর
সনদ গ্রহণ করেননি। পৌরসভার তালিকায় আনোয়ার এখনো জীবিত আছেন।
ঝিনাইদহ
সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. মশিউর রহমান
ঢাকা পোস্টকে বলেন, তথ্যগত ভুল হয়েছে। আমাদের
ফর্মে আবেদন করলে সংশোধন করা
যাবে।