দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার চাষিরা উন্নত জাতের সরিষা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। স্বল্প খরচ আর কম সময়ে প্রতি বছরই সরিষা চাষ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানাযায়, প্রচলিত দেশি সরিষার চেয়ে বারি-১৪ ও বারি -১৫ ফলন বেশি হওয়ায় চাষিরা আগ্রহী হচ্ছে। অনেকেই আমন ধান সংগ্রহের পর জমি ফেলে না রেখে সরিষা চাষ করেছেন। এরপর আবার ধান রোপণ করবেন কৃষকেরা। তাতে করে একই জমিতে বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন হচ্ছে।
অনুকূল আবহাওয়া আর রোগবালাই কম থাকায় দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় বেড়েছে সরিষার আবাদ। মৌ-মৌ সুগন্ধে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় সরিষা আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা।
বিরামপুর কৃষি কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা যায় , গত বছর আশানুরূপ ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় এবার এ অঞ্চলে ব্যাপক হারে বেড়েছে সরিষার চাষ। তাছাড়া বিরামপুর উপজেলায় সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির প্রকল্পের আওতায় বিরামপুর উপজেলায় ৩,০০০ হাজার কৃষকদের মধ্যে জনপ্রতি ১ কেজি সরিষা বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়। ফলে বিগত সময়ের চেয়ে এবার বিরামপুরে সরিষা চাষীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিরামপুর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিক্সন চন্দ্র পাল বলেন, বিরামপুর উপজেলায় এবার ১ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষাবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, কিন্তু এর চেয়েও অধিক জমি ১ হাজার ৫ ৯০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষাবাদ হয়েছে।