ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

গ্রামীন সবজি ক্ষেত অবদান রাখছে পুষ্টি ও অর্থনীতিতে

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, ডিসেম্বর ১১, ২০২২

গ্রামীন সবজি ক্ষেত অবদান রাখছে পুষ্টি ও অর্থনীতিতে
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রান্তিক পর্যায়ে ক্ষেত নামের সবজি চাষের জমিতে ফসল ফলতে শুরু করেছে। ধান তোলার কাজ শেষ হওয়ার পর শাক সবজির ক্ষেতে কর্মব্যস্ত নারী পুরুষ চোখে পড়ার মত। সবজি ক্ষেতগুলি অনাবিল সৌন্দর্য বিলিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলার পশ্চিম বুল্লা, পূর্ব বুল্লা, করাব, মৌ বাড়ি, কামড়াপুর, সিংহগ্রাম, বামৈ, মুড়িয়াউকসহ প্রায় প্রতিটি গ্রামে এ ধরনের সবজি চাষের জমি গড়ে তোলা হয়েছে। এ ধরনের চাষাবাদ সাধারণত শীত মৌসুমে করা হয়ে থাকে।

মরিচ, ধনে, আলু, পেয়াজ, রসুন, বেগুন, লাল শাক, ফুলকপি, বাধাকপি, টমেটো সহ শীত মৌসুমী উৎপাদন হয় এমন অসংখ্য সবজি চাষ হয় এ সময়। সাধারণত পারিবারিক পর্যায়ে চাষাবাদ করা হয়ে থাকে।

বাড়ির পাশের ছোট্ট জমিতে কয়েকটি প্লটে ভাগ করে একটি ক্ষেতে বেশ কয়েক প্রকার সবজি ও মশলা চাষ করা হয়। পরিবারের নারীরা এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

এসব জমিতে বীজ বপন, নিড়ানি দেয়া, পানি সেচ ও ফসল উৎপাদন সহ প্রায় প্রতিটি কাজই পরিবারের নারী সদস্যরা অগ্রনী ভুমিকা পালন করে থাকেন।

সৌখিন এ সবজি ক্ষেত গুলি পরিবারের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পরিচায়ক হিসেবেও কাজ করে। উদ্ধৃত ফসল বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন চাষীরা।

নানা রকম শাকসবজি ফুলে ফলে যখন ভরে ওঠে তখন বাহারি রং আর মনোমুগ্ধকর সৌরভে চারপাশ মাতোয়ারা হয়ে ওঠে।

এ বছর পারিবারিক পুষ্টিবাগান গড়ে তোলার জন্য কৃষি বিভাগ থেকে সরকারিভাবে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। তবেপ্রনোদনার অর্থ সঠিকভাবে বন্টন করার ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ে অভিযোগ রয়েছে।

পশ্চিম বুল্লা গ্রামের কৃষক জোস্না আক্তার জানান, আমরা প্রতিবছর এ রকম সবজি ক্ষেত করি। কিন্ত সরকারী প্রণোদনা আমরা পাই না। যারা সবজি ক্ষেত করেন না তাদের অনেকেই এ বছর প্রণোদনার টাকা পেয়েছেন শুনেছি।