ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪ |

EN

প্রবাসী স্বামীর সর্বস্ব নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন স্ত্রী

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: শনিবার, অক্টোবর ৯, ২০২১

প্রবাসী স্বামীর সর্বস্ব নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন স্ত্রী
সন্তানসহ সৌদিআরবে স্বামী শাহ আলমের কাছে যাওয়ার সকল প্রস্তুতি শেষ। এরই মধ্যে ঘটলো অঘটন, চলে যাওয়ার তারিখ পড়ার আগেই স্বামীর সর্বস্ব লুটে পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে রাতের আঁধারে পালিয়েছেন স্ত্রী। এঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যে কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী কালু ফকিরপাড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

সোমবার (৪ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে সবার অগোচরে পালানোর সময় স্বামীর পাঠানো নগদ ছয় লাখ টাকা, ১১ ভরি স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিস নিয়ে পালিয়েছেন তিনি। সাথে দুই বছরের শিশুসন্তানকেও নিয়ে গেছেন।

ওইদিন ভোর হতে মঙ্গলবার সারাদিন নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর সেই গৃহবধূকে না পেয়ে কক্সবাজার সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। নিরুদ্দেশ হওয়া ওই গৃহবধূ সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সৌদি প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী। দাম্পত্য জীবনে তাদের নুজাইফা ইসলাম রাইসা নামে দু'বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

প্রবাসী শাহ আলমের ছোট ভাই শাহ আমিন জিডিতে উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালে রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের উত্তর শরীফপাড়ার ওই নারীর সঙ্গে শাহ আলমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। গত সোমবার ভোর ৪টার দিকে বাড়ির সবার অজান্তে শিশুসন্তানসহ রোকসানা নিরুদ্দেশ হন। ফজরের আজানের পর সবাই ঘুম থেকে উঠলেও তার সাড়াশব্দ না পেয়ে দেখতে গিয়ে রুমের দরজা খোলা পাওয়া যায়।

রুমে ঢুকে আলমিরা খোলা দেখে তল্লাশি করে টাকা, স্বর্ণালংকার, মূল্যবান কাপড়-চোপড় এবং অন্যান্য জিনিসপত্র পাওয়া যায়নি। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিবেশী মোক্তার আহমদের ছেলে মো. রিদুয়ানের (২০) সঙ্গে রোকসানা পালিয়ে গেছেন। ঘটনার বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিলে প্রবাসী স্বামী, জিডিকারী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে মোবাইলে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলার হুমকি দেন রোকসানা।

প্রবাসী শাহ আলম মোবাইল ফোনে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মেয়েটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই রোকসানার পরকীয়ার বিষয়টি শুনছিলাম। তাকে জিজ্ঞেস করলে অস্বীকার করতো। আমি ছুটিতে দেশে আসতে চাইলেই বেঁকে বসতো। বলতো ঘর বিল্ডিং করলেই আমি দেশে আসতে পারবো। প্রয়োজনে তাকে সৌদি আরব নিয়ে যেতে বলতো। তার কথামতো প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে ঘর তোলার জন্য মাসখানেক আগে ছয় লাখ টাকা পাঠাই। বিয়েতে দেওয়া আট ভরি স্বর্ণ এবং গত মাসে ছুটিতে দেশে যাওয়া তার (স্ত্রীর) মামাকে দিয়ে মেয়ের জন্য তিন ভরি স্বর্ণ পাঠানো হয়।

শাহ আলম আরও বলেন, বাবা-মা মারা যাবার পর আমাদের ৫ ভাইয়ের দুই ভাই এক ঘরে আর তিন ভাই আলাদা ঘরে বাস করি। আমরা দুই ভাই এক ঘরে থাকি কিন্তু দু'জনই প্রবাসে। বাড়ির একপাশে আমার স্ত্রী আরেক পাশে অন্য ভাইয়ের স্ত্রী থাকতো। বাড়ির নিয়মিত কাজে ব্যবহার হওয়া যে সিএনজি করে চলে গেছে তার চালকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। অসুস্থতার কথা বলে ফোন করে ডেকে সবকিছু নিয়েই তার গাড়িতে ওঠে রোকসানা। সাথে রিদুয়ানও ছিলো। প্রথমে চালকের বাসায় গিয়ে পরে আমার শাশুড়ির কাছে যায় তারা। সেখান থেকেই নিরুদ্দেশ হয়। সে আমার সর্বস্ব লুটে চলে গেছে। বিষয়টি রোকসানার চাচা তাদের ওয়ার্ড মেম্বারকেও অবহিত করা হয়েছে। তিনিও সিএনজি চালকের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছেন।