কুড়িগ্রামে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি হামলা,গুলি করে হত্যা,বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব এ্যাড.র"হুল কবীর রিজভীসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি।
বৃহঃস্পতিবার ৮ ডিসেম্বর দুপুরে পৌর শহরের পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়াস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি বের হয়ে ডায়াবেটিস মোড় ঘুরে পুলিশি বেষ্টনির মধ্য দিয়ে জাহাজঘর মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষ হয়।
এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিব,জেলা বিএনপির সদস্য শাহীন শেখ রঞ্জু,জেলা বিএনপির সমবায় বিষয়য়ক শফিকুল ইসলাম শফি মুন্সি প্রমুখ।
এসময়জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন,জনগণের ভোটের অধিকার নষ্ট করে যারা গণতন্ত্রের অপব্যবহার করছেন তাদের হিসেব দিতে হবে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বোমা রাখার নাটকীয়তায় গ্রেফতার,গুলি,হত্যা করে সমাবেশ বানচালের চক্রান্তের উচিত জবাব ও দায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের জনগণের কাছে সকল কর্মের জবাব দেয়ার কথা বলেন তিনি।
এছাড়া বিক্ষোভে বক্তারা বলেন,বিএনপি যখন সাধারণ মানুষের দাবি নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করছে। জনগণের অধিকার নিয়ে সমাবেশ করছে ঠিক সেসময় আন্দোলন নস্যাৎ করার জন্য তারা রাজপথে পুলিশ ও সরকার দলীয় পেটোয়া বাহিনী দিয়ে গুলি,হত্যা,গুম করে দেশের গণতন্ত্রকে বিধ্বস্ত করছে। আমরা অবিলম্বে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব এ্যাড.র"হুল কবীর রিজভীসহ গ্রেফতার হওয়া সকল নেতা কর্মীর মুক্তি চাই,অবিলম্বে
মুক্তি না দিলে আন্দোলন আরো জোরদার করার হুশিয়ারি দেন বক্তারা।
এছাড়াও বক্তারা অবিলম্বে বেগম জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করেন।