ঝালকাঠির কাঠালিয়া পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের ”পরিবার কল্যান সহকারী” পদে ভুল তথ্য দিয়ে নিয়োগ পাওয়া জন্য আবেদন করেন সাবিনা ইয়াসমিন ।
এর সঠিক প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় মিলন দে কলেজ শিক্ষক ৪ ডিসেম্বর ২২ ইং তারিখ জেলা প্রসাশক ও সিভিল সার্জেন বরাবার দরখাস্ত করেন। সেখানে উল্লেখ করেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্তৃক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যার স্মারক নং- জেপপ /বাল/নিয়োগ/২০২১-২৬০ তারিখ- ১১ আগস্ট ২০২১ অনুযায়ী তিন ধরনের পদের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট জেলা/উপজেলা/ইউনিয়ন/পৌরসভা/ইউনিট/ওয়ার্ডের স্থায়ী নাগরিকদের উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ২ নং শর্ত (পরিবার কল্যান সহকারী পদের আবেদনকারীকে অবশ্যই শুন্য পদের বিপরীতে প্রদর্শিত সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন/পৌরসভার সংশ্লিষ্ট ইউনিট/ওয়ার্ডের আওতাভুক্ত গ্রাম/পাড়া/মহল্লার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান /পৌরসভার মেয়র কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিক সনদপত্র ও স্থায়ী বাসিন্দার সনদপত্র মৌখিক পরীক্ষার সময় দাখিল করতে হবে অস্থায়ীভাবে বসবাস কারীগণ এই পদে আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেনা।
সেই মোতাবেক প্রার্থীকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থী সাবিনা ইয়াসমিন (রোলঃ১২০৩১০৬৪৯) তার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড (৮নং ওয়ার্ড, ২ নং পাটিখালঘাটা ইউনিয়ন)
তিনি আবেদন অনুযায়ী চাকুরীর কর্মস্থলের স্থায়ী বাসিন্দা নন। ৮ নং ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায়ও তার নাম নাই। তার ২০০৭ সালের ইস্যুকৃত জন্মনিবন্ধন, নং-১৯৯৬৪২১৪৩৭৯০০০৯৩৬ ।
যা তার বিবাহের পূর্বে পড়ালেখার কাজে ব্যবহার করার জন্য ইসুকৃত এবং যেখানে স্থায়ী ঠিকানার বদলে জন্মস্থান উল্লেখ করা।
পরবর্তীতে তার মঠবারিয়া থানা, পিরোজপুর জেলায় ১ম বিবাহ হয়, ১ম স্বামী বিদেশ থাকাকালীন ১ কন্যা সন্তান সহ তিনি ভান্ডারিয়া থানা, পিরোজপুর জেলায় ২য় বিবাহ করেন এবং বর্তমানে ২য় স্বামীর ঠিকানায় আছেন।
তার ভোটার আইডি কার্ড পিরোজপুর জেলাতে এবং তিনি পরিবার পরিকল্পনা কাঠালিয়া উপজেলা থেকে আগত তদন্তকারী দলকে ভোটার আইডি কার্ড প্রদর্শন করেননি এমনকি কোনও ফটোকপিও দেখান নাই।
এই বিষয় প্রার্থী সাবিনা ইয়াসমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য নির্বাচন অফিসে জমা দেওয়া। কিন্তু নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ী সংশোধনের জন্য মূল আইডি কার্ড জমা নেওয়া হয় না।